“ছন্নছাড়া জীবন”


মাতৃগর্ভে দশ মাস!
আঁখি মেলে বেড়ে উঠা সময়ের সাথে সাথে; জীবনের পথ চলা আবার-
মৃত্যুর মাধ্যমে সেই জীবনের অবসান।
অস্বীকার করার নেই কোন উপায় বাবা-মা ছাড়া কোন সন্তান-
পায়না দেখতে ধরিত্রীর আলো;
তাইতো বাবা-মায়ের ঋণ যায়না শোধ করা!
তবে আঁখি মেলে বেড়ে উঠা-
সেই সময়টুকুতে প্রতিটি সন্তান পায়না;
বাবা-মায়ের স্নেহ, ভালবাসা, যত্ন।
নিজেদের কাজের ব্যস্ততায় বের হয়ে সকালে ফেরে রাতে।
সারাদিনের সঙ্গী বলতে কাজের মাসি।
রাতে এসে একটু আদর করে চকলেট দিয়ে-
আলাদা রুমে ঘুম পাড়িয়ে যায় চলে।
সেই সকল সন্তানদের জীবন ছন্নছাড়া আর কোন জীবন পারে না হতে।
আমি অজয়!
বেড়ে উঠবার সময়ে পাইনি বাবা-মায়ের স্নেহ, ভালবাসা, যত্ন।
মানুষ হয়েছি কাজের মাসির কাছে।
জ্বরে মা বলে কেঁদেছি তবু পাইনি কাছে না “মা” না “বাবা” কে।
একটু একটু করে আমি বড় হলাম; জীবন আমার হলো ছন্নছাড়া।
দিনে বের হয়ে যাই বাসা থেকে; ইচ্ছে না হলে রাতে যাইনা বাড়ি।
মদ খেয়ে মাতাল হয়ে থাকি-মেয়েদের শরীরের গন্ধে মেতে থাকি।
কেউ আসেনা কিছু বলতে; বাবা-মা আছে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।
জীবনে বাবা-মায়ের স্নেহ, ভালবাসা, যত্ন বড্ড দরকার-
রুখতে একটি “ছন্নছাড়া জীবন” ।
প্রতিটি সন্তান যেন বেড়ে উঠে;
বাবা-মায়ের স্নেহ, ভালবাসা আর যত্নের ছায়ায়!