“শিক্ষাগত যোগ্যতা না মনের সৌন্দর্য”


ছোট্ট একটি পুতুলের মতো মেয়ে!
সারাঘর ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ঘুরে বেড়ানো।
খেলার সাথী হয় হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল নয়তো গামছা দিয়ে বৌ সাজা।
এমনি করে সমাজ ঢুকিয়ে দেয় এই কন্যা শিশুর মাঝে “তুমি মেয়ে”
একটু একটু করে সময়ের সাথে সাথে পদার্পণ করে কন্যাটি ২৫ বছরে।
বাবা-মা সেই ছোট্ট মেয়েটির জন্য খুঁজতে থাকে পাত্র বিয়ের অভিলক্ষে।
সেই বহুকাল আগের থেকেই পাত্রপক্ষের দাপট বেশি।
শোনা যায় মা-মাসিদের বেলায় দেখা হতো তাঁদের;
চুল টেনে; দাঁত কেমন; হাঁটতে বলে লুলা কিনা করতে পরীক্ষা ঠিক যেন-
পশুর হাটে পশু কিনতে আসা।
যুগের সাথে সাথে আজ চাহিদা হয়েছে পরিবর্তিত পাত্র এবং পাত্রের পরিবারের।
এখনকার পাত্ররা চায় তার বৌ যেন সুন্দরী-স্লিম-শিক্ষাগত যোগ্যতায় তারই সমকক্ষ।
মাঝে মাঝে ভাবি এমন চাহিদা দেখে-
হাসবো না কাঁদবো!
আচ্ছা এখনকার সময়ে পাত্ররা কি সংসার করবে-
স্ত্রীর বাহ্যিক সৌন্দর্য আর শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে নাকি;
তার স্ত্রীর সুন্দর মনটির সাথে সারাটিজীবন।
হে! বর্তমান সময়ের পাত্র!
সৌন্দর্য আর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করবেন ঠিক আছে-
তবে কোন পাত্রীকে আপনার অযোগ্য বলবেন না!
কেননা সেই পাত্রীটি হয়তো আপনার নয় অন্য আরেকটি মানুষের-
অর্ধাঙ্গিনী হবে!
হয়তো সেই পাত্রটি দেখবে মনের সৌন্দর্য সবকিছুর উর্ধে।
সংসার হবে মানুষটির সাথে; বাহ্যিক সৌন্দর্য কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতায় নয়।