“ভালবাসার ভাঁজে একাকীত্ব”


উদিত সূর্য-
নিশিথের আঁধার কেটে আলোকিত করে পুরো পৃথিবী।
ঠিক তেমনি একটি ঘুটঘুটে আঁধার কক্ষ;
আলোকিত করে এক চিলতে জ্বলন্ত সলতে।
ভালবাসা; কখনো সূর্য আবার কখনো সেই জ্বলন্ত সলতে।
জীবনে আসা ভালবাসার মানুষটির সাথে;
কাটানো ভালবাসার মুহূর্তগুলো-
হৃদয়কে ভালবাসার কিরণে প্রজ্বলিত করে।
তবে যখন জীবন থেকে মানুষটি চলে যায়;
থেকে যায় শুধু ভালবাসার স্মৃতি।
সেই স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা;
ঠিক যেন এক চিলতে জ্বলন্ত সলতের ন্যায়-
যে কোন মুহূর্তে পুড়ে নিভে গিয়ে আবার হবে কক্ষ ঘুটঘুটে আঁধার।
তাইতো ভালবাসার ভাঁজে থাকে একাকীত্ব।
সেই একাকীত্ব যৌবন কালে যায়না অনুধাবন করা।
তখন শুধুই ভালবাসার রঙ্গিন ভুবন হৃদয় আর আঁখি জুড়ে।
থাকে পরস্পরের শরীরের ঘ্রাণ নেবার ব্যাকুলতা।
মানুষটি জীবন থেকে চলে গেলেও কিছুদিন কষ্ট পেয়ে-
নিজেকে নতুন করে জড়ানো অন্য কারোর ভালবাসায়।
নববিবাহিত বরগুলো বড্ড করে ছটফট বাড়ি ফেরার;
কেননা বিয়ে করা বৌ যে আছে ঘরে একা।
সময়ের সাথে সাথে যখন শরীর বার্ধক্যের দ্বারে পৌঁছায়-
অনুভব করা যায় ভালবাসার ভাঁজে সেই একাকীত্ব;
যদি ভালবাসার মানুষগুলো নিজেদের আগে চলে যায় পৃথিবী থেকে।
সেই একাকী জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত-
মৃত্যুলগ্নের রুদ্ধশ্বাস-ভালবাসার স্মৃতি আর আপন শ্বাসটুকুই অবলম্বন।
সেই জ্বলন্ত এক চিলতে সলতের ন্যায়-
বেড়িয়ে যাবে এই দেহের প্রাণটুকু।
তাইতো ভালবাসার ভাঁজে একাকীত্ব খুঁজে পায়-
দিদা কিংবা দাদু; ঠাকুরদাদা কিংবা ঠাকুরমা।
যৌবনের ভালবাসা হোক হৃদয় থেকে;
বৃদ্ধ বয়সে বাঁচবার জ্বলন্ত সলতে!