“মুক্তি না বন্ধন”


জীবন!
খিলখিল করে হেসে উঠা নিষ্পাপ শিশুর ন্যায়।
জীবন!
কখনো পুষ্পের পাপড়ি ছিটানো কখনো পাথর মিশ্রিত পথের ন্যায়।
জীবন!
কখনো ঝর্ণার বারিধারায় কখনো জীবাণুযুক্ত বন্যার বারিধারায় সিক্ত।
জীবন!
বয়সের দাঁড়িপাল্লায় কখনো উচ্চমুখী চাপ আবার কখনো নিম্নমুখী চাপের ন্যায়।
……….
সেই জীবনে “মুক্তি” দেয় নির্মল সুখের আস্বাদন।
বন্ধন জীবনকে রাখে বেঁধে ‘অনুভূতির’ বন্ধনে।
সেই বন্ধন আঁকড়ে ধরে মানব পায় খুঁজে-
বেঁচে থাকবার খড়কুটো।
দিনের আলো বিলীন হয়ে রাতের আগমনের ন্যায়-
এই জীবন প্রদীপের শিখা “আত্মা” পায় যে মুক্তি।
যে প্রদীপগুলো ‘অনুভূতিতে’ করে জ্বলজ্বল-
চায় শুধু বন্ধনে থাকতে বাঁধা পড়ে।
আর যে প্রদীপগুলো “শিখা” করে অনুসরণ-
পায় ‘মুক্তির’ নির্মল সুখ।
তাইতো জীবনের কাছে রাখা এক প্রশ্ন-
মুক্তি না বন্ধন!
‘মুক্ত জীবন’ না ‘বন্ধন অনুভূতির’ পথে-
হবে অগ্রগামী এই মানব মন!