“আনন্দধারায় নজরুল”


মানব হৃদয়ের এক অনুভূতি “আনন্দ”।
ছোট্ট একটি প্রাণ আঁখি মেলে-
নিজের আপন মনে আনন্দ নিয়ে খিলখিল করে হেসে উঠে।
“আনন্দের অনুভূতি” মানবের চিরসাথী।
মানব হৃদয় নেচে উঠে খুশিতে আবার কখনো বিষাদে।
এই নিয়েই তো মানব জীবন!
আজকের আকাশ কখনো মেঘবিহীন আবার কখনো ঝুমবৃষ্টি।
বাতায়নে আজ শুধুই খুশির আমেজ, আজ যে খুশির ঈদ;
হৃদয়ে থাকলেও বিষণ্ণতা, ভয়-সংশয় কেননা বিশ্বজুড়ে করোনায় যাচ্ছে প্রাণের পর প্রাণ।
লকডাউনে বাসায় থেকে-
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে করছে বিনিময় ঈদের শুভেচ্ছা!
সেই প্রিয় মানুষগুলোর কণ্ঠস্বর হৃদয়ে দেয় বিষাদের মাঝেও আনন্দ।
সবার মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপে বেজে উঠে-
সেই গান যা ছাড়া ঈদের আনন্দ যায়না উপলব্ধি করা “রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”।
লিখেছেন প্রেমের, সাম্যের, বিদ্রোহী কবি “নজরুল”।
আজ যেন হৃদয়ে আনন্দ হয়েছে দ্বিগুণ;
ঈদের সাথে নজরুলের জন্মবার্ষিকী আজ।
হৃদয়ের আনন্দধারায় আজ হচ্ছে-
“নজরুল” স্মরণ সেই সাথে তাঁর সৃষ্টি কালজয়ী গান।
হে! নজরুল!
তোমার জন্মবার্ষিকীর সাথে ঈদের আনন্দ সবসময় আসেনা;
এইবার এলো যখন মানব হৃদয়ে বিষণ্ণতা।
শুধু আজকের দিনে নয় থেকো তুমি মানব হৃদয়ে-
আনন্দধারায় হে! নজরুল!
আনন্দের পরশে দূর হোক সকল বিষণ্ণতা, ভয়, সংশয় আর উদ্বিগ্নতা!