শুভ্র! স্নিগ্ধ! পবিত্র  এক অবিনশ্বর প্রাণ।
সে যে এক সুনিপুণ শিল্পী! কারিগর।
বড্ড যত্নে, ভালবেসে সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত!
প্রতিটি সেকেন্ড! প্রতিটি ক্ষন! প্রতিটি দিন।
সেই নূর শিল্পীকে কেউ দেখে নি তবু;
সে আছে সব মানবের মাঝে।
তাঁর প্রতিরূপের মাঝেই মানব পায় তাঁরে খুঁজে।
সে আর কেউ নন! সে যে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা!
...........
তাঁর  সৃষ্টি এক পৃথিবীর মাঝেও;
কোথাও দীপ্তিময় সূর্যের কিরণের স্পর্শে।
আবার কোথাও আঁধার।
তাঁর সৃষ্টি মানবের অনুভূতির মাঝেও;
তারতম্য থাকে যে চলতে প্রতিটি মুহূর্ত তাঁদের মনের মাঝে।
কোন মানব বাঁধা পড়ে;
সাত পাকে বাঁধা আবার -
কোন মানব হারায়;
সারাজীবনের জন্য তাঁদের প্রিয় মানুষটিকে।
কারোর প্রেমময় জীবনে মিলন আবার কারোর বিচ্ছেদ।
কারোর জীবন সোহাগ, ভালবাসায় পূর্ণ;
কারোর আবার নয়ন ভাসে অশ্রুজল।
কখনো ধরিত্রীতে মা দূর্গার বরন আবার;
কখনো সেই ধরিত্রীতেই-
কোন এক মায়ের সিঁথির সিঁদুর যায় যে মুছে।
"আলোয় অস্তিত্বহীন আঁধার"-
এমন করেই যায় কেটে মানবের জীবন।
শূন্য আবার সৃষ্টি এর নামই তো জীবন!