“আমার অস্তিত্ব”


অস্তিত্ব!
কখনো প্রাণের কখনো অনুভূতির।
আঁখি মেলে জীবনের শেষ মুহূর্ত ধরে-
রেখে যায় মানব নিজেদের অস্তিত্ব।
আমি বাবা-মায়ের আদরের কনিষ্ঠা কন্যা।
তাদের হৃদয় মাঝে আমার অস্তিত্ব থাকবে অমলিন হয়ে।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার অস্তিত্ব কোথায়!
কবি হিসেবে বিবেচিত হতে পেরেছি কিনা নেই আমার তা জানা।
তবু কাছের, আপন, ভালবাসার মানুষের অনুপ্রেরণায়;
করেছি প্রকাশিত আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “পোড়াকাব্য”।
সময় বয়ে যাবে আপন গতিতে; অনেক সময় অতিবাহিত হবার পর-
“আমার অস্তিত্ব” খুঁজে পাবো;
ধুলো জমা আমার “পোড়াকাব্য” বইয়ের মাঝে;
যাদের কাছে আছে আমার বইয়ের কপি।  
সরস্বতী পূজার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়।
কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার “শান্ত” আর “প্রিয়” ছাত্রী হিসেবে।
কারোর জীবনে পাগলী বান্ধবী কিংবা সুপ্ত ভালবাসার মানুষ হয়ে।
ক্যামেরায়  বন্দী ছবির স্মৃতির মুহূর্তে।
“কবিতার আসরে” হঠাৎ করে করা মন্তব্যে-
কিছু কবিদের সৃষ্টি কবিতায়!
সেই সাথে আমায় উৎসর্গ করে লেখা “সুদীপ্তা চৌধুরী” কবিতায়।
“আমার অস্তিত্ব” থাকবে “কবিতার আসরে” আমারি পাতায়-
“কবি সম্মেলনের” কিছু একত্রিত মুহূর্তের প্রোফাইল ছবিতে।
এইসবের মাঝে খুঁজে ফেরা আমার অস্তিত্ব-
শুধু স্নেহ, ভালবাসা দিয়ে করে যেন আমায় অনুভব;
আমারি আপন, কাছের, ভালবাসার-
আর “কবিতা আসরের কবিরা” তাঁদের মণিকোঠায়।