“সূর্যে মেঘের আবরণ”


বৈশাখ মাস।
রাতের আঁধার কেটে পাখির কলকাকলি আর;
সূর্যের স্নিগ্ধ কিরণে ধরিত্রী আলোকিত হয়ে আরম্ভ হয় নতুন ঊষার।
সমীরণের মাঝে বিরাজ করে শীতলতা; থাকেনা তেমন সূর্যের উষ্ণতা।
দুপুরের মধ্যভাগে কিংবা গোধূলি বিকেলের শেষ লগ্নে-
আকাশ ছেয়ে যায় ঘুটঘুটে কালো মেঘের আবরণে।
এই ধরিত্রীতে আঁখি মেলে মানব জীবনের শেষ মুহূর্তের লগ্নে;
ভালবাসা “অক্সিজেন আর পানির” ন্যায়।
মানব আত্মা যেমন পারেনা বেঁচে থাকতে পানি আর অক্সিজেন ছাড়া-
তেমনি কোন মানব হৃদয় পায়না পূর্ণতা ভালবাসার পরশ বিহীন।
“ভালবাসা” এমনি এক অনুভূতি যা হৃদয়কে কখনো ভাসায়-
প্রেমের জোয়ারে আবার কখনো হৃদয়কে করে নীরব রক্তাক্ত।
সবার জীবনের ভালবাসা নয় তো সূর্যের কিরণ;
কিছু ভালবাসা জীবনে মেঘের আবরণ।
আছে একটি প্রচলিত কথা, “ভালবাসায় তৃতীয় মানুষটি কষ্ট পাবেই”
একটি ভালবাসার দম্পতি যখন ভাসে নিজেদের প্রেমের জোয়ারে
অপর প্রান্তে নীরবে কেঁদে চলে অবিরত কোন একটি হাহাকার হৃদয়-
প্রেমের জোয়ারে মত্ত সেই মানুষটির জন্য-কোনদিন জানতেও পারেনা;
তৃতীয় মানুষটি কতো ভালবাসে এই সুখী মানুষটিকে!
সেই হাহাকার আর ভালবাসাশুন্য হৃদয়ে-
সূর্যে মেঘের আবরণকে অবলম্বন করে;
কাটিয়ে দেয় পুরো জীবন নীরবে সেই মানুষটিকে ভালবেসে আর-
দুটি হাত থাকে প্রার্থনারত আর অশ্রুসিক্ত আঁখি দুটি;
শুধু মানুষটির সুখে দেখবার ব্যকুলতায়।
এমন করেই শেষ নিদ্রায় নিমজ্জিত হয় সেই একাকী প্রাণপাখিটা।
সুখে থাকা সেই মানুষটির কাছে পৌঁছায় না সেই গভীর ভালবাসা।
সূর্যে মেঘের আবরণ হয়ে দূর থেকে ভালবেসে জড়িয়ে রাখে;
ভালবাসার মানুষটিকে  !