কে গো তুমি অন্তরবাসিনী!
বেঁধেছ মোরে কোন ডোরে কোন মধুর রসে এ হৃদয় কোকনদে।
বিচিত্র রূপে করেছো প্রকাশ বিচিত্র বেশে এ মধুর ভবনে।
কি বা পরিচয় তব, হে হৃদনিকুঞ্জকামিনী!
সুধালে মোরে জীবনের তত্ত্ব
আনন্দ দুঃখ হরষ মধুর বিমল এই প্রাতে।
জানিনা তুমি কোন লোকের দেবী
পরালে পাশ জীবনের মধুর বীনাতন্ত্রের।
সুরে ভেসেছে হৃদকদম্ব শূন্য উষর প্রান্তরে।
হে প্রিয়ংবদা, দেব লোকের অনন্যা
ছড়ালে মায়া লোহিত রাঙা উষা মাঝে,
সবুজ তৃণ, স্বচ্ছ নীল সলিলে।
তোমা মাঝে খুঁজি সেই মনমাধুরী
গেঁথেছ যে মায়াখানি অঞ্জন ঘন আঁখিতে।
ভুলায়েছে সব কাজ মনের কুহকে
তবু কেন ফিরে ফিরে আসি ওই চরণে?