দিনের শেষ আলো  মিশে গেছে প্রিয় শান্ত গোধূলির আভাতে।

বসেছে আসর নব বিবাহের এই সৌম্য সুন্দর সাঁঝ বেলাতে।

বিবাহের রঙে রাঙা গগন সাজালো প্রকৃতি আপন আভূষনে

শেষ হয়ে এলো পাখির কাকলি    মিশে গেলো ওরা দূর দিগন্তে।

নদীর মাঝে আজ স্রোত বয়ে যায়   খেলে যায় জোয়ার অতি লজ্জায়।

একমুঠো হাওয়া উড়ে এলো হেথা    ভেঙে গেলো পার আপন হত ভাগ্যে।

ভাঙা মন্দির আঁধারে মগন বাজিলো কি তার ঝিল্লিনূপুর আবছায়া গোধূলি বেলায়!

বহুকাল পর দীপ জ্বেলেছে শর্বরী মোহিত চাঁদের মায়ায়।

কেটেছে দিন  কতো কি খেলায় কতো নানা কাজের অজুহাতে,

না হলো হিসেব, না হলো বিচার, রথ এসে দাঁড়িয়ে মোর দ্বারে।

ভেসে আসে ওই পূরবীর সুর বাজায় কে বাঁশি নিবিড় বনাঞ্চল বনানীতে।

এবার এসেছে লগন মধুর কুঞ্জবন গোধূলির আলোতে চাঁদের আভায়।

সারা হলো কাজ, হলো সমাপন, তবু কেন বারে বারে কে ডাকে মোরে।

এসেছে গোধূলি এসেছে লগন নেই সময় আর অপেক্ষার ওরে।

আন তোরা ডালা, বকুল যুথিকার মালা, ফুলের পরিমল সাজের উপকরণ যত।

কে সাজাবে মোরে, ওরে, নববধূর বেশে বাঁধবে কে কেশ দিয়ে যুথিকার হার।

পরাবে কে মনোরম বেনারসি চেলি, চন্দনে কে ভরাবে শূন্য ললাট মোর।

সুগন্ধি ধূপে ঘৃত পূর্ন দীপালোকে বাজলো সানাই বিবাহ বাসরে।

আজ অবশেষে এসেছে সে সময় তুমি করে যাবে ওই দুর্লভ বিভূতি দান,

প্রেমের সূচিকা রূপে  শোভিভে যা মোর শূন্য সিঁথির বাহার।

নেবে কি টেনে পূর্ন প্রেমে মোর বাহুখানি তার বক্ষের অঞ্চলে,

দেবে কি সে খুলে তার মনের বন্ধ দ্বার যখন মিলাবে আলো গগনের পশ্চিম পানে।

সেকি,ভরাবে মোর মন কোন মন্ত্রে করবে মগন

সব কাজ সেরে যখন আসবে সে গোধূলিলগনে রে।