যবনিকার অন্তরালে শিল্পীর বুকফাটা কান্নার শব্দ চাপা পড়ে যায় মৌনতার চাদরে,
বিপরীতে বসে থাকা দর্শক ওই শিল্পীর কৌতুকরস ভোগের অপেক্ষায়।।
যবনিকা উন্মোচিত হয়;
নিজের শিল্পী-সত্ত্বা তাকে আর বিন্দুমাত্র কাঁদার অনুমতি দেয় না,
শুরু হয় শিল্প-প্রদর্শন;
তার একের পর এক মৌখিক অভিব্যক্তিতে দর্শকরা হেসে লুটোপুটি।।
মাঝে কয়েকবার বিনা অনুমতি সত্ত্বেও তার চোখের কোনে এসে ভিড় জমায় কয়েকটা নোনা-জলের ফোঁটা,
কিন্তু তাদেরকে অগ্রাহ্য করে শিল্পী আবার লেগে পড়েন তার শিল্পী-সত্ত্বাকে অনুসরণ করতে।।
নাটক শেষ হয়,যবনিকা নেমে আসে।।
   দর্শকরা একরাশ আনন্দ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয়,পিছনে পড়ে থাকে শূন্য মঞ্চ আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা শিল্পীটা।।
যবনিকার অন্তরালে শিল্পী-সত্ত্বার কাজ আপাতত শেষ,
তারপর, হঠাৎই দুচোখ দিয়ে নোনাজলের বন্যা নেমে আসে থরথর করে কাঁপতে থাকা মানুষটার চোখে।।
        শিল্পী-শিল্প এরকমই,শিল্পীর অভিধানে 'দুঃখ' শব্দটির অস্তিত্ত্ব খুবই আভ্যন্তরীণ-অবহেলিত,
কিন্তু এই দুঃখই একজনকে প্রকৃত শিল্পী বানায়,
     আমরা সকলেই শিল্পী কিন্তু ,হ্যাঁ.....
শিল্পী-সত্ত্বার ঘনত্বে সবার মধ্যে তারতম্য আছে বটে।।