এক শ্রাবণ ছিল
শ্রাবণের জানালার ফাঁক দিয়ে চোখগুলো খুঁজতো
"সীমাহীন" শব্দের মানে,
মনের মধ্যে জমে থাকা নস্টালজিয়া গুলো
যেন হয়ে উঠতো আলহাদে আটখানা,
আর হবে নাই বা কেন?
মনের বাক্স-বন্দি জীবন ছেড়ে সেদিন তাদের
চোখের তারায় মেশার অনুমতি
অবশেষে মঞ্জুর হতো যে!
সামনের পুকুর পাড়ের কৃষ্ণচূড়াটা
ভিজতো আপন মনে,
হয়তো সে মনের গভীরে এই শ্রাবণের জন্য
সেই সর্বশক্তিমান কে কৃতজ্ঞতা জানাতো
পরম তৃপ্ততায় প্রতিনিয়ত
কারণ এটাই তার মজ্জাগত;
সামনে রাখা চায়ের কাপে টুপটাপ এসে মেশা
বৃষ্টির জলের ফোঁটারা যেন ডিপ্রেশনের দাওয়াই
হিসেবে কাজ করতো;
প্রেমিক সত্ত্বাটা তখন চুপিসারে এসে কানের কাছে বলতো,
"প্রেম করতে সবসময় প্রেমিকা লাগে না,
প্রকৃতিই যথেষ্ট।।"
সত্যিই এক শ্রাবণ ছিল,
একজন ভেজাতো আর একজন ভিজতো...অনবরত...।।