ছোট্ট গল্প


আমার বাড়ির পাশে বিশাল বাগান
আম, কাঁঠাল আর লিচুর সারী,
আছে কতক অশ্বত্থ আর বট
পাখির বাসা বাঁধা তাতে রকমারি।


সে বনের বুড়ো বটের তলে
কোঠর ছিল একটা বড়,
সে কোঠরে থাকত সুখে শুধু
এক জোড়া ময়ূর বেশ বড়সড়।


রোজ দিনের বেলা দুলিয়ে মাথা
আসত তারা ঘুরতে পাড়া,
সবাই দিত খেতে করত আদর
পাড়ার গর্ব ছিল এই পক্ষী জোড়া।


নাম ছিলনা সঠিক কোন
অনেক নামেই ডাকত সবাই,  
বন্ধুরা সব নাম দিয়েছিলাম
ওদের আমরা টুকু টুকাই।


সইলনা সুখ আর বেশীদিন
শোকের আকাশ কে আনল সাথে,
করল হরণ এবার রাম কে একা
কোন সে এক রাবণ রাতে।


বলতো সবাই সে চোর শিকারি
তালে ছিল ফন্দী এঁকে,
মূল্য বুঝে রামকে চুরি
সীতাকে গেল একলা রেখে।


ভেবেছিলাম সে অবুঝ পাখি
মন বিনা কি কষ্ট আবেগ,
আমরা যে ভুল দেয় বুঝিয়ে
তার বুকেও আছে ভালবাসা অনেক।


রামের ফেলে যাওয়া একটি পালক
যত্নে রাখা ওই বাসার মুখে,
আঁধার রাতে বিষণ্ণ সে সুর
দেয় দুঃখের জানান তার জমা বুকে।


এভাবেই বেশ কটি মাস
টুকু এদিক ওদিক ক্লান্ত চোখে,
দিনের বেলায় বাড়ি বাড়ি
আহার ফেলে কেবল খুঁজত ওকে।


শেষে কদিন পরে বলল সবাই
নেই টুকুর দেখা ওকি গেল চলে,
দেখি খুঁজতে গিয়ে বাসার মুখে
টুকু ঘুমিয়ে আছে মরণের কোলে।