অপেক্ষা,
শুধুই অপেক্ষা
এ অপেক্ষা সেই অপেক্ষা নয় যার
সময় বাঁধা থাকে।


এ অপেক্ষা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এর,
তেত্রিশ বছর নয়।


এ অপেক্ষা সাফল্যের মুখ
দেখার জন্য নয়।


এ অপেক্ষা ছেলেকে
ফিরে পাওয়ার জন্য,
মায়ের রেললাইনের ধারে মেঠো পথটার
পারে দাঁড়িয়ে থাকা নয়।


এ অপেক্ষা
শিশুর গাজী
বেশে
বাবাকে ফিরে পাওয়ার নয়।


এ অপেক্ষা
সময়ের তালে হারিয়ে যাওয়া
ভালোবাসার অপেক্ষা নয়।


এ অপেক্ষা
স্বর-অ,প এ-কার,ক্ষ আ-কার নয়।


এ অপেক্ষা আমার
কল্পনার এক অবাস্তব
অপেক্ষা যা কোনদিন শেষ হবার নয়।


এ অপেক্ষা
শুধুই এমন একটি দিন দেখার অপেক্ষা।


যেদিন পথের
ধারে সাহায্যের
জন্য কাউকে হাত পাততে হবে না


যেদিন
আবরারের মতো
মেধাবী ছাত্রদের সাফল্যের আলো
না দেখে পৃথিবী ত্যাগ
করতে হবে না।


যেদিন শত
নুসরাতকে নির্যাতনে প্রাণ দিতে হবে না।


এ অপেক্ষা
সেদিনের যেদিন,


কোনো বাবা-মাকে মাদকগ্রস্থ
সন্তানের হাতে প্রাণ
দিতে হবে না।


সেদিনের অপেক্ষা
যেদিন,,


কোনো কিশোরকে লজ্জায়-অপমানে
আত্মহত্যা করতে হবে না।


আমি সেদিনের এক অবাস্তব
অপেক্ষায় থাকি,


যেদিন সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায়
কিশোরীকে পড়ালেখা ছেড়ে
দিতে হবে না।


যেদিন মোবাইল কিনে না দেওয়ায়
বাবা-মাকে খুন হতে হবে না


সেদিনটাই
দেখতে চাই,


যেদিন গণমাধ্যম নয়,
❝মিনা❞ কার্টুনের মতো
সচেতনতার বাণীর
ধারক বাহক হবে বাংলার প্রতিটি নাগরিক।


যেদিন কঠোর হস্তে
বাস্তবায়িত হবে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
প্রতিটি আইন।


আমি সেদিনের
অপেক্ষায় যেদিন,


দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
প্রভাবে সমাজ থেকে
দূর্নীতি,খুন,ধর্ষণ,সন্ত্রাস
অপরাধ শব্দ গুলোই মুছে যাবে।


যেদিন বাংলাদেশ সরকার
সাল নির্ধারণ করে
❝Digital Bangladesh❞ নয়
❝সচেতন বাংলাদেশ❞ গড়ে
তোলার অঙ্গীকার নেবে।


এ অপেক্ষা এমন একটি দিন দেখার
অপেক্ষা যেদিন,


শতভাগ কার্যকরী হবে ১০৯,৩৩৩
এর মতো ন্যাশনাল
হেল্পলাইন সেন্টারগুলোর কার্যক্রম।


অপেক্ষা
শুধুই অপেক্ষা,


যা ব্যক্তিগত সুখ ভালোবাসা
আপনজনকে ফিরে পাওয়ার নয়,


সার্বজনীন সচেতন বাংলাদেশ দেখার
এক অবাস্তবঅপেক্ষা


জানি অপেক্ষা,
শুধুই অপেক্ষা..!