নীল চাদরে ঢাকা এক টুকরো বাংলাদেশ
--সুহেল ইবনে ইসহাক


যেখানে দৃষ্টিকাড়া বিপুল জলরাশির
উথাল-পাথাল মনমাতানো ঢেউ হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়।
ঢেউয়ের তালে তালে নৌকা চলে আপন গতিতে।
কোথাও দেখা যায় ছোট ছোট নৌকায়
জেলেরা জালের দড়ি ধরে টানছেন মাছের আশায়।
পার হয়ে একটু সামনেই ছোট্ট গোছানো একটি ঘর,
যেন কাগজে আঁকা কোন শিল্পীর ছবি।
কখনো নজর কাড়ে শিশুদের জলকেলি উৎসব,
কখনোবা দেখা যায় বিপুল জলরাশিকে
আগলে ধরে রেখেছে অসীম আকাশ।
ঠিক তখন, টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া ভাঙ্গা হৃদয়টা
যেন পরিপাটি হয়ে বসে ভালবাসার নীল কাব্য রচনায়।
চোখ যতদূর যায় যেন আকাশ নেমে গেছে জলরাশির মধ্যে।
মুড়িয়া হাওরের জলে ভেসে উঠে
সকাল,দুপুর,বিকাল ও রাতের বিচিত্র সমাবেশ।
সকালে সারপার-ভারত সীমান্ত ঘেঁষে উদিত ও বিকালে ক্লান্ত, ডুবন্ত
সূর্যের আলোকচ্ছটা অপরূপ সৌন্দর্য্যের মহিমা তৈরি করে।
পূর্ণিমা রাতে জলের ভেতর ডুবে থাকা চাঁদ
যেন ঢেউয়ের সাথেই খেলায় মগ্ন ।
মুড়িয়া হাওরের নীলাভ জলরাশির সাথে চাঁদের আলোর
মায়াবী সৌন্দর্য্য সুধা মনপ্রাণ ভরে উপভোগ করতে
শুরু হয় জ্যোৎস্না উৎসব।
পুনশ্চ স্বচ্ছ জলের উপর বিশাল নীল আকাশ,
এ যেন নীল চাদরে ঢাকা এক টুকরো বাংলাদেশ।


রচনাকাল : নভেম্বর ৫, ২০১৮, টরন্টো, কানাডা।