শান্তির উপত্যকার খোঁজে
--সুহেল ইবনে ইসহাক  
প্রত্যাশা এমন এক স্বপ্নের পৃথিবী,
যেখানে কোনো যুদ্ধ নেই, নেই কোনো বিবাদ।
থাকবে না কোনো অভাব। শত্রুরা হবে মিত্র।
উন্নয়নের সুবিধা পাবে পৃথিবীর সবাই।
সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ নিয়ে হবে শান্তির বাগান ।  
প্রকৃত বুদ্ধি-বোধির অভাবেই আজ অশান্তি,
যে শব্দ শৈলীর মাধ্যমে মানুষের প্রকৃত
বুদ্ধি-বোধির উন্মেষ হয়,তাই আসল কবিতা।
অতএব, কবিতার অভাবই অশান্তির কারণ I
জীবনের বহুমাত্রিক কৌতূহলের মীমাংসা রয়েছে কবিতায়।
শব্দ সমবায় যদি নতুন চিন্তার জন্ম দেয়
কিংবা পাঠকের চেতনাকে শব্দাতীতে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়,
তাহলে সেরূপ রচনা ‘মহৎ কবিতা’ হতে পারে I
একদা পৃথিবী ছিল কবিতাময়!
বস্তুতঃ পৃথিবীতে আগে শুধু কবিতাই ছিল।
পৃথিবীর সবকিছু তখন কবিতার মতোই সুন্দর ছিল।
আজ অবধি সাহিত্য-নন্দনকাননের প্রস্ফুটিত গোলাপের মতো
অবিরাম গতিতে শুধুই সুবাস ছড়াচ্ছে কবিতা I
লেখক ও সাহিত্যিকের নিজস্ব একটা ধর্ম থাকে
আর এই ধর্মদর্শনের নাম মানবধর্ম।
মানবধর্ম প্রতিষ্ঠিত হলে বিশ্ব শান্তি অবধারিত I
সাহিত্যে আছে শুধু মানুষ আর মানুষ,মানবতা আর মানবতা।
আর তাই, জীবনের প্রয়োজনে সাহিত্য আজ সকল মানুষের জন্য।
সাহিত্য রস সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধ
বিশ্বশান্তির জন্য এই মুহুর্তে বড় প্রয়োজন হতে পারে ।
চূড়ান্ত কাপুরুষতার আড়ালে সন্ত্রাসবাদীরা মারণ আঘাত আনে।
নিউইয়র্ক, মুম্বই, লন্ডন, প্যারিস, ক্যালিফোর্নিয়া, ব্রাসেলস,
ফ্লোরিডা, ইস্তানবুল, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর, ও ঢাকায়
বার বার রক্তাক্ত হয় বিশ্ব মানবতা।
অনর্থক রক্তপাতের বিরুদ্ধে কবিতা কী উত্তর দিতে পারবে?
তাই কবিতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য অনন্ত অপেক্ষা।
কবিতা গর্জে উঠবেই,
কবিতা সভ্যতার সন্তান,
শান্তির উপত্যকার খোঁজ কবিতা পাবেই।


রচনাকাল: ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, টরন্টো, কানাডা I