হরণ করে পরধন রয়েছো আনমনে।
ভ্রান্তপথে টেনে নিলে অতি গোপনে।


সরল বলে করলে ছল, ভুল শিখিয়ে।
দম্ভ ভরা বহু কথা কহে বেড়াও চোখ ভিজিয়ে।


লোক সমাজে দেখিয়ে ফিরে, ভীষণ সরলমনা।
অন্তঃকায়া অতীব কুটিল, কারো কথা শুনেনা।


প্রথম সাক্ষাতে সবাকে দেখায়, একজন চমৎকার ভদ্রলোক।
পরক্ষণে চেনা যায় ঐলোক অমুক -তমুক।


চৌর্যবৃত্তি তার অন্তরে ফিরে ফিরে আসে।
শত দরকারে পাওয়া যায়না, প্রয়োজনে থাকেনা পাশে।


মিষ্টি কথায় মন ভুলাতে দারুণ দক্ষ।
উগ্র ব্যবহার সখ্যতা নাই কোন, যেন দুর্বৃত্ত।


কত কথার আশার বাণী, ঝরে পড়ে মুখে?
পূরণ করেনা কোন কথা, ব্যথা দেয় বুকে?


এমন করে নিঃস্ব আজ তার জীবন।
কেউ তারে দেখতে পারেনা যখন-তখন।


অলস দেহ লুটিয়ে ঘুমায় নরম শয্যায়।
অবজ্ঞা করে সবারে যেন, হাতে তুলে নাচায়।


ভীষণ শাপে পাপী-দুঃখী, ধুর্তের লজ্জা যে কই?
তাহাতে মম দূর ছাই ছাই, প্রতি ক্ষণে লই!


নিষ্ঠুর পাষাণ লোক, সে মোর পরম শত্রু।
কষ্ট সহেছি তার লাগি, তারে মাফ করিবোনা কভু!


যবে হীন কাজ করবে হবে অধোগতি, করেনি নিজ যতন।
জীবনে আসবে ঘোর তমসা, নামবে চরম অধঃপতন।




রচনাকাল: ২৪/০৯/২০ইং
রাত: ১০.৩০ মিনিট