ওহে বরষা নব প্রভাতে স্বাগত তোমায়,
এই ধরিত্রীর বুকে।
প্রখর কিরণের তেজ চাতক হয়েছে,
মেঘের শোকে শোকে।


বাদলের ঘনঘটায় মুখোরিতো চারিধার,
বয়ে চলে শীতল পবনের আঁচল।
শোঁ-শোঁ পবনে প্রকৃতি ফিরে অন্য রূপে,
শান্ত প্রকৃতির মুক্ত অঙ্গ সকল।


বর্ষণের জল হৃদয়ে মেখে,
সিক্ত তনু করে ঝলমল।
আপ্লুত হয়ে ভেসে যাই ঢেউয়ে,
পরান হলো কোমল।


নব রূপে, নব ধারায়,
বরষার চঞ্চল মেঘের ছায়া।
কখনো প্রকট, কখনো প্রচ্ছন্ন,
নেমে আসে বৃষ্টির কায়া।


মাঠ-ঘাট ভরে টইটম্বুর,
স্নানে মুগ্ধ কাননের বৃক্ষলতা।
পুকুর-দীঘিতে আলোড়িত ব্যাঙের ধ্বনি,
ভেঙে যায় মনের মৌনতা।


প্রচণ্ড তাপদাহে দুঃখের বিলাপ ভেঙে,
স্বস্তি আনে বরষা।
চৌচির মৃত্তিকায় প্রাণ ফিরে আসে,
বরষা আগমনে সহসা।


প্রাণীকুল জেগে উঠে নব প্রাণের সঞ্চারে,
প্রকৃতি পায় নতুনের সজীবতা।
তৃষিত আঁখির তৃষ্ণা জুড়ায়,
নীরবতা ভেঙে উঠে বনলতা।


এসো হে বরষা, তোমায় বরণ করি রিক্ত হৃদয়ের শূন্য হস্তে।
নও তো স্পর্শের বাহির।
বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে বারি ঝরে বরষা প্রীতির।
বন্দনা করি ওহে বরষা তব সৃষ্টির।