সেই দিনগুলো আর পাবোনা জানি দস্যি ছেলেবেলা !
প্রখর রৌদ্রে মাঠে-ঘাটে কত করেছি খেলা?


অবাধ্য হয়ে ছুটে বেড়াতাম বন্ধু - বান্ধব যেথায়।
হৈ হুল্লোড়ে মাতিয়ে রাখতাম পাড়ার সকল সখায় !


আকাশ মাঝে মেঘ জমেছে, ছুটেছি আম্র কাননে।
পিছু পিছু মা ডাকে এই যাসনে ঐখানে।


খেলার ছলে হারিয়ে যেতাম আপনও ভুবনে ।
দ্বন্দ্বময়ি মধুর বিবাদ বাক্য ভুলি যে কেমনে !


বৃষ্টির জলে ভিজেখেলেছি আনন্দের মাতামাতি।
মেঘযুক্ত গগনে, চমকিত বিজলির ভয়ে, নিভেছে মনের বাতি !


বর্ষার আগমনে স্নানে মেতে চোখ করেছি লাল।
বাবা দিয়েছে চোখ রাঙ্গানি, বাবার লাঠি ছিল জঞ্জাল।


মন নেই পড়াশুনায়, ফাঁকি দিয়ে করেছি চাতুরি।
বাড়ি ফিরে সাঁঝের বেলায়, মনে ছিল দুষ্টামি ভারী !


মিছে কথায় ভীষণ পটু চঞ্চল নয়নে আঁকা।
বেশ নেই ভূষা নেই, কন্ঠের কথা আঁকাবাঁকা ।


নিশিরাতে গুপ্ত আশে, অন্যের গাছে করেছি আরোহণ।
চৌর্যবৃত্তির মনটা ছিল ভীষণ, সবি আনন্দের কারণ।


অতীত আজ সেই মধুময় স্মৃতি, হারিয়েছে কালের অতলে।
কতই না ভালো ছিল সবি, সেই শৈশবকালে।