আমরা দিশেহারা ছিলাম
অমাবস্যায় সারারাত্রি ভিজবার পর
আমরা পথ হারিয়েছিলাম।
আমাদের রাস্তাগুলো সঙ্কীর্ণ ছিল,
আমাদের মোড়গুলো বিচিত্র ছিল,
আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ মনগুলো
সরলরেখায় চলতে অভ্যস্ত ছিল না।


আমাদের রঙ ছিল অন্ধকার
আলোকে আমরা ভালবাসতাম বলে
তাকে সযত্নে খরচ করতাম।
আমাদের বাঁকগুলো বিরোধপূর্ণ ছিল,
আমাদের স্বপ্নগুলো তামাশার মত ছিল,
আমরা এক থেকে অন্যে ঘোরার মত চঞ্চল ছিলাম।


স্থির ভাবনায় আমাদের আত্মা বদ্ধ হত না।
অপাপী থাকার চিন্তা আমাদের পাপী করে তুলত না।
আমাদের স্বজনেরা আমাদেরই হত্যার পণ করেছিল।
আমাদের প্রেয়সীরা গুপ্ত আততায়ী রূপ ধরেছিল।
কার্তিকের কুয়াশার নিচে
আমরা তাই পথ হারিয়েছিলাম।


অবশেষে একজন বৃদ্ধ এসেছিল
কাঁপা কাঁপা পায়ের পাশে
হাতে ধরা শক্ত লাঠি
তার দৃঢ়তার জানান দিচ্ছিল।
অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ভারে
ক্রমশ কুঁজো হয়ে পড়ছিল সে।
কিন্তু ইতস্তত আমাদের পাশে
তাকে এক শক্তিশালী পুরুষ বলে মনে হয়েছিল।
আমাদের ভবিষ্যতের চিন্তাকে
সে একটি পথের নকশায় রূপ দিয়েছিল।
অতঃপর আমাদের দৃষ্টিকে স্থির করে
সে হেঁটে গিয়েছিল তার নিজস্ব পথে।


আমরা দুঃস্বপ্নে ব্যধিগ্রস্থ ছিলাম-
আমরা দুশ্চিন্তায় আচ্ছন্ন ছিলাম-
অবশেষে একজন বৃদ্ধ আমাদের পথ দেখিয়েছিল;
অবশেষে আমরা ভবিষ্যতের পথে
হাঁটবার জন্য স্থির হয়েছিলাম।
মরে যাবার আগ পর্যন্ত
ভবিষ্যতের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সচেষ্ট হয়েছিলাম।