স্বাধীনতা তুমি প্রেমের কবিতা মৃত্যুঞ্জয়ী জীবনের সোপান
তুমি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের গাহি সাম্যের গান।
স্বাধীনতা তুমি বঙ্কিমচন্দ্রের চিরসবুজ বন্দেমাতরম গান
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জন গণ মন অধিনায়ক সুরের টান ।
স্বাধীনতা তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের বুকভরা হাসি
বানভাসি সুখ তোমাতে মিলিয়েছে না জানি কতনা পরবাসী।
স্বাধীনতা তুমি নেতাজির "তোমরা আমাকে রক্ত দাও"র  সুর
তোমাতে বিলীন হলো যারা, তাদের স্মৃতি আজ বড় বেদনাবিধুর।
স্বাধীনতা তুমি অন্ধকারের মধ্যে বেঁচে ওঠার শেষতম আলো।
তোমাতে মিলিয়ে উঠবো বেঁচে ঘুচিয়ে যত আঁধার কালো।
স্বাধীনতা তুমি নদীর তীরে বিকেলের শান্ত হাওয়ার পাল
কালবৈশাখীর ঝড় শেষে উঠবে জেগে নতুন সকাল।  
স্বাধীনতা তুমি আজ ফের দেশে দেশে বিদেশীর বেশে
তুমি এসো ফিরে পরাধীন এই দেশে নতুন যৌবনের জোশে।
স্বাধীনতা তুমি আমার পেটের ভাত, মুখের ভাষা জন্মগত অধিকার
কেড়ে নিলো যারা বিপ্লবের শানিত রক্তে তাদের হোক বিচার।
স্বাধীনতা তুমি বইছো মোদের প্রতিটি ধমনী রক্ত শিরায়
গীতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওঠো তুমি, শানিত হও মজ্জায় মজ্জায়।
স্বাধীনতা তুমি উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির আঁচল
সব দুঃখ ভুলিয়ে দাও তুমি আমার কাশী মথুরা নীলাচল।
স্বাধীনতা তুমি বোনের হাতের পাতায় শুকনো মেহেদীর রঙ
ভাইয়ের হাতে নতুন নতুন রংবাহারি মোবাইলের ডং।
স্বাধীনতা তুমি যেমন ইচ্ছে লেখা আমার কবিতার খাতা
সাজাবো তোমায় নিজের রঙে থাকবেনা কোনো ছুতা।
স্বাধীনতা তুমি আজ নিজেকে কি খুঁজে পাও এই দিকভ্রান্ত দিনে
তোমাকে বেচছে, লুটছে যারা পিশাচ ক্ষমতার টানে।
স্বাধীনতা তুমি বিবিধের মাঝে মহামিলনের সেই চিরন্তন গান
সাম্যের অধিকারে গড়ে তোলো এই দেশ তুমি যে সর্বশক্তিমান।
স্বাধীনতা জানি তুমি একদিন আসবে ফিরে গড়বে পুন্যভূমি
সকল দেশের রানী হবে আবার, আমাদের এই জন্মভূমি।