সুন্দরী মেয়ের পেছনে ঘুরিনি আদৌ
তার অহংকারের শত ছিদ্রের মাঝে
উকি দিয়ে দেখিনি ওই আকাশের
শক্তিধর দৃষ্টিকাড়ানো তাণ্ডব কিরন
ব্যথাতুর স্নায়ু মেলে ধরি নি কভু
পেতে শশী সৌন্দর্য –তারকা পুস্প ঘ্রান।
অসংকোচে বাঁধিনি কারেও, যাচি নি
এতটুকু সহানুভুতি – সিন্ধু অভিযাত্রীর
স্নান সম জল কিংবা নাব্যতার আহ্বান।
বৃষ্টিস্নাত দুপুরে হাতে হাত ধরে খুঁজি নি
শহর কাননের এতটুকু অবকাশ, উৎসুক
নয়ন খুঁজে ফিরেনি ফুটপাতে কিংবা নিখর্ব
মানুষের ভীড়ে একটু সৌন্দর্যের হাতছানি।
হিংসায় জ্বলে নি কভু দেখে তীব্র উচ্ছ্বাস
মানুষের মন আর দেহের তৃপ্ত একাগ্রতা।


কোন এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আগ্রাসনে
ডুবে থাকি আমি আমার নিত্য আরাধনে
পাই না নিস্তার তার এতটুকু মুহূর্ত
আমার দিবস- রজনীর প্রতিটি কর্মে
তার সুখ স্পর্শ চিরায়ত অমলিন যেন
বেঁধেছে অভিকর্ষজ অক্ষত আকর্ষণে।