মোর দাদুজান কেন এত পাষাণ বলে না গল্প আর
স্বপ্নপুরী  ভুতের বুড়ি তিন মাথা সাত মাথার।
সন্ধ্যার পরে মাদুর পেতে বসতাম হয়ে গোল
আকাশ থেকে তারা খসে পড়ে যেন বাঁধিয়েছে শোরগোল।
শত প্রতীক্ষা তোষামোদ ভিক্ষা চাঁদটা উঠতে বাকি
জায়নামাজ ফেলে দাদু বলত আজও হবে নাকি?
থাক না আজকে শরীরটা আজ বিশেষ ভাল না
কেউ বা মাথা টিপে দিত এসে কেউবা ধরত পা।
হয়েছে হয়ছে ছাড় তো এখন শোনরে তোরা- বাছা
বহুকাল আগে কোন এক দেশে ছিল যে এক রাজা
স্বর্ণ খচিত সাত রানী আর উজির মন্ত্রী কত
দাস দাসী ভরা অন্দরমহল সেনাপতি শত শত
চার কন্যায় থাকত রাজা সদা হাস্য বদন মুখে
সারা দেশে শুধু সুখ আর সুখ প্রজারা ভীষণ সুখে
এই সুখ আর টিকল না ঘটে প্রচার রাজ্যময়
রাজা আটখুড়া তাই অপদেবতারা করবে রাজ্য জয়।
তাই শুনে রাজা বেজায় অখুশী বৈদ্য ডাকল আনি
কত পুত্রলতার শেকড় বেটে খাইল সাত রানী।
কিছুতেই কিছু হয় না, কেউ- হয় না গর্ভবতী
রাজা হতাশ ভাল লাগে নাকো প্রজাদের মতিগতি
হটাত রাজা শুনল গায়েব আসমান হতে আসি
পুত্র চাস তবে করতে হবে ছোট রানী বনবাসী ।
রাজার তরে জান কুরবানী দিল যেই ছোট রানী
সারা রাজ্যে নৃত্য বাদ্যে- বড় আনল পুত্র বানী।
আনন্দ মাখা মুখে আমরা- দাদু ,তারপর কি হল?
বলছি বলছি, দেখ না ওই মেঘে চাঁদটা লুকাল
ও পাশ থেকে বাবা হেঁকে কয় পড়তে বয় না ওরে
আকাশের ওই তারাগুলো যেন চলে যায় দূরে সরে।