আমার ঘরের টিকটিকিটা আজ সঙ্গীর কোলে
মাথা রেখে আরাম নিদ্রা যায়
আর আমি দুই কম্বল গায়ে জড়িয়ে
মশারির ভেতর ঠকঠক করে কাঁপি।
শান্তা ভাবির ভধকা ছেলেটাও সেদিন
পাশের বাড়ির আক্কাসের মেয়ে নিয়ে
পালাতে গিয়ে ধরা খেল আর আমি
আজ সালিশে সাক্ষী সেজে বসে আছি।
ওই দিন বাজারে যেতেই ঝনটু দোকানদার
টাকার জন্য হাটভর্তি মানুষের সামনে
এত্তগুলা কথা শুনাল।
আমার বাড়িতে কামলা খাটত চিকনা মতিন
সেদিন এসে বলে কিনা ধারের টাকা ফেরত
না দিলে মোড়লের কাছে গিয়ে নালিশ দিবে।
আর আমি দুই দিন সবুর কর বলে পায়ে ধরি।
মফিজ কাকার বড় পোলা শামসু সেদিন শাসিয়ে
গেল- আমার ছাগী যদি ফের তার খেতের খেসারি
খায় তবে চার ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দিবে।
আর আমি বেঁধে রাখব বলে হাত কচলাই।
কাজের দাদিটা পর্যন্ত কথা কথা শুনায়
তেল নাই ,নুন নাই আমি কি স্বর্গ থেকে
সব ধার করে এনে উনুন জ্বালাব?
পালা কুকুরটা পর্যন্ত আমাকে দেখলে
পেছন ফিরে লেজ নাড়ে, বিড়ালছানা আমার
বিছানাটাকে ডাস্টবিন জ্ঞ্যান করে।
শেষ পর্যন্ত মর্জিনাকেও বিয়ে করে নিয়ে গেল
কাদের মুন্সির চাকুরে পোলা সীমান্ত খোমেনী ।
আর আমি বেঁচে থেকে কি বোম্বে সিনেমা দেখব?
আমাকে কেউ ঝুলিয়ে দে না হয় দড়ি আন নিজেই ঝুলি।