সহস্র ভোল্টেজ তড়িৎ স্পর্শে শরীর
যেন ঝংকারে সহসা বিষাদ সিন্ধুর
প্রবল উথলিত ঢেউ গর্জে উঠছে
সমস্ত বিভব শক্তির সক্ষমতায়
প্রচণ্ড উল্লাসে ধেয়ে এসে নিরীহ
সৈকত আর দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটা
স্তরে স্তরে রেখে যায় প্রলয়ংকারির
ছাপ- ভয় পেয়ে মুক্ত বলাকা বিকট
চিৎকারে উড়ে যায় পরিত্রাণ পেতে
যেন কোন ছন্দমধুর বিকৃত সুর।
আকাশের সব তারাগুলি যেন বিকিরিত
আলোর নাভিশ্বাসে খসে খসে পড়ে।
প্রকৃতির এই অমোঘ শৃঙ্খল চাঁদ- সূর্য
গ্রহ-নক্ষত্র যেন যার যার কক্ষপথ থেকে
ছিটকে বেরিয়ে আসে – বিকট গর্জনে।


আমি এই অনুভূতি নিয়ে কম্বলে মুখ
ঢাকি- শীতের রাতে ঘুমানোর বৃথা চেষ্টা।
যেন অন্ধচোখে সুইসুতো পরানের মত-
এমন শত হিজিবিজি চিন্তাধারা মস্তিস্কের
প্রতিটি স্নায়ুর গোঁড়ায় নাড়া দেয় অবিরত।
নিজেকে ভেবে বড় অবাক লাগে হটাত
প্রচ্ছন্নে ভাবি এমন তো ছিলাম না আমি!