বাস্তবতা এমন রুঢ় হয়ে উঠেছে যে
কল্পনার নভোযানে করে কোন দূর নক্ষত্রের
নীরব নিভৃত নির্জন কোন কোন স্বর্ণ বেছান
প্রান্তরে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় চারদিকে শধু গ্যাস- বাস্প
কাল অন্ধকারচ্ছন্ন আকাশটা দেখতে বড্ড ভয় হয়।
পিচাশেরা হুংকার দিয়ে ওঠে -হৃদপিণ্ড ক্ষণিক
তার অনর্গল কর্মময়তা ভুলে কিছুটা বিশ্রাম নেয়।
আমি নভোযান থেকে নামবার সাহস হারাই।
কোন রাতের স্বপ্নে ছায়াঘেরা গুহার অলিন্দে
শীতল আবেশে পরম প্রশান্তময় চিত্তে
তোমাকে ভেবে শরীরের প্রতিটি শিরা ধমনীতে
প্রবাহিত তীব্র বিষাক্ত রক্তধারা –ফুসফুসের
দুষিত বায়ুপ্রবাহ পরিস্রাবন করেছিলাম একদিন।
কিন্তু বাস্তবতা এমন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে যে
আমার কল্পনা আজ চির অন্ধ হয়ে গেছে।
নভোযানের জ্বালানী নিঃশেষিত হয়ে গেছে।
কল্পনা রাজ্যের বিস্তৃতি দিকচক্রবাল পর্যন্ত থেমে
গেছে।
আমি আজ শত হাতড়িয়েও গুহার প্রবেশদ্বার পাই না।