বাবা, হাল ছেড় না
এদিকে আমার বইঠার লক্ষ কোটি হার্জ কম্পনে
হাতের তালু খসে খসে যায়- তবু কালবৈশাখীর
শেষ ঝাঁকিটার মত শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে
জলপ্রবাহকে রুখতে চেষ্টা করি কিন্তু সব নিস্ফল
আমার নৌকা পিছু হটে – একবার নয় বারবার।
তবু বাবা বলে হাল ছেড় না
মানুষের ধৈর্যের তো একটা সীমা আছে নাকি?
দেড়গুণ ভার চাপিয়ে মরুভুমির উটের মত
মরুঝরে আর কত বার পাড়ি দিব সাহারা?
তোমার স্বপ্নে পাওয়া মৃত্যুঞ্জয়ী ফুলের আশায়।
আর কত কাল ধরে মারিয়ানায় ডুবে থাকলে
তুমি বলবে থাক বাবা আমার লাগবে না কৃষ্ণমুক্তা ।
আমি তো সপ্তম জেনারেশনের রোবট নই- আমার
যে শ্বাস নিতে হয় , ঘুমে ছেয়ে যায় চোখের পাতা।
আমি হাজারী বীর নই- বিধাতা শক্তি দিয়েছে নগন্য
বুদ্ধি দিয়েছে তার চেয়েও কম- আমি তো ব্যর্থ হবই
আমাকে নিয়ে কেন এত বেশী প্রত্যাশা- হুদাই?
তুমি তো অতিমানব জন্ম দাও নি- ভুল করে
মানুষ জন্ম দিয়েছ হয়ত তার চেয়েও অধম।