প্রথম প্রথম যখন অবরোধ ডাকত
উল্লাসিত চিৎকারে গগন ফাটিয়ে দেওয়ার দলে আমিও ছিলাম।
একটানা ক্লাশের ক্লান্তি দূর করার একটু ফুরসত পাব বলে।
বেশ কয়েকদিন ধরে সারা রাত জেগে কথা বলা হয়নি
লিস্টেড মুভিগুলো জমা হয়ে আছে দেখা হয়ে ওঠে নি
ভুলে গেছি দিবানিদ্রার সাধ- চুলদাঁড়ি বেশ বড় হয়ে গেছে
এমন হা হুতাশ ভুলতে সেদিন পশু নৃত্য নেচেছিলাম।
কারন পেট্রোলের গন্ধ আমার নাকে আসেনি- আমার মা
বার্ন ইউনিটের সামনে বসে অপেক্ষা করে নি, টিউশনি গুলো
নির্বিঘ্নেই করেছি- টিএনটির বিস্ফোরনে কানে তবদা লাগে নি কখনও।
বাচ্চা ছেলেও নই যে বল দিয়ে খেলার ছলে কব্জি উড়িয়ে দেব।


দীর্ঘ স্থবিরতায় বয়স থেমে গেছে- শরীরের মরিচা দূর করতে
ছাত্রের সহপাঠী হওয়ার ভয়ে ক্লাশ খোলার জন্য ঝড় তুলি
দেশের অর্থনীতির সুনীতি হোক বা কুনীতি হোক, শ্রমিকরা
ভাত খায় নাকি মুড়ি খায়- এটা নিয়ে ভেবে আমার বিলিয়নি
মস্তিস্কের স্নায়ু ছিঁড়ে কোন লাভ আছে?
রাস্তায় গাছ পড়ে থাকুক কিংবা উল্কা খসে পড়ুক- বন্দরে
জাহাজ চলে নাকি হাঙ্গর ডিম পাড়ে-তা নিয়ে ভাবার
সময় আমার নাই- ভিসাটা আমার ঠিকমত হয়ে গেলেই বাঁচি।
বিরোধীদল সমাঝতায় আসুক নাই হরতাল ডাকুক – সরকার
গণতান্ত্রিক হোক না হয় স্বৈরতান্ত্রিক- মানুষ বাঁচুক কিংবা মরুক
আমি শুধু ভাবি বিয়েটা আমার ঠিকসময় হলেই হল।