কোন খ্যাতির মোহে নয় কবিতা লিখি নিছক সৃষ্টির আনন্দ পেতে।
কেউ যদি বলে –“ মন ছুয়ে গেল” –তবে তা তুলে রাখি হৃদয়ের স্মৃতিকুঠরে।
আর যদি কেউ বলে –“ কি লিখস হিজিবিজি” তবে আমার অনুপ্রেরনা-
নিভৃতে থাকা ক্লেদাক্ত অনুভুতির আলোর পরশে স্পন্দিত তীব্র বাসনা।
ব্যথাতুর দেহের প্রতিটি স্নায়ুর আলোড়ন শধু ক্ষণিক সৃষ্টিসুধার অবগাহন তৃপ্তি।
আর কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে নয় – কালের খেয়ার ছাড়পত্র নিয়ে
মহাকাল সিন্ধুর তরঙ্গে তরঙ্গে বিচরণের প্রবল বাসনা থেকে নয়।
আমি কবিতা লিখি -আপনাকে আপনি সান্ত্বনা দিতে ,নইলে যে আমি
ডুবে যাব ভেতরে জমানো বিষাক্ত লাভার অতল গহীনে- ব্যাকুল নীরবতায়।
তাই আমি উদ্দীপ্ত হই না প্রশংসা কিংবা তিরস্কারে – শধু জানি ব্যস্ততার
একফাঁকে সঞ্চিত বাস্প ঘনীভূত করতে হবে তরল কিংবা কঠিনে ।
আবরণে নয় উলঙ্গ নির্লজ্জতায় –
কালের নভোযানে যদি জায়গা না হয় –যদি ছুঁড়ে ফেলে দেয় অসীম মহাশূন্যে
ভাসমান আমার অপত্য চিৎকার করবে না কারণ কেউ একজন পুঁজেছিল
তারে সপ্তরঙের বরমাল্য দিয়ে – গহীন হৃদয়ের তীব্র অনুরাগ যেন যুগ যুগ
মহাযুগ ধরে উড়ে বেড়ানোর জ্বালানী- সহসা কোন ভিনগ্রহের আলো যদি
চোখে পড়ে – তাহলে খুঁজে নেবে তার ঠিকানা নতুন গন্তব্যে।