দিতে চাইলেই কি সব দেওয়া যায়!
কিছু থাকে আস্তিনের ভিতর, কলারের পিছনে
আর তোষকের নীচে;
আর কিছু থেকে যায় বিস্মৃতির ঘুমে -
পাতা চাপা পড়ে....পাতা চাপা পড়ে....
শান্তির সমাধি বেদী, চন্দ্রবিন্দু আঁকা।
সমাধি আসলে লোক দেখানো –
ভিতরে তারা নড়ে-চড়ে, শ্বাস ফেলে বড় করে;
আপাত নীরিহ তুলসীমঞ্চের আড়ালে যে
বাঘটা ওৎ পেতে থাকে, থাবা চাটে
সেও তো সুযোগ খোঁজে – অন্ধকার কখন গাঢ় হয়,
বাড়ির বউটি কখন একলা আসে বাতি দিতে!
আসল কথা - একলা হওয়া।
একলা বললেই কি একলা হওয়া যায়?
ঝুপ ঝুপ নেমে আসে ওরা, গুড়ি মেরে বেড়িয়ে আসে –
প্যান্টের চোরপকেট থেকে, কুলুঙ্গির ভিতর থেকে,
এ্যালবামের পাতার আড়াল থেকে;
নিয়ে আসে – ডায়েরীর ছেড়া পাতা, কোরাসে গানের সুর,
নন্দনের ধুলো...আরও কত কী!
একাকীত্বের শীতঘুম থেকে টেনে তুলে বলে
একদান বাজী হবে নাকি?
আর কী আশ্চর্য্য  - প্রতিদানেই আমার
বাজী রাখা সুখ, স্থিতি, সাফল্য সব
জিতে নেয় তুরুপের তাস ফেলে


তারপর অবিকল বেতালের ভঙ্গীতে
কাঁধের দুপাশে পা ঝুলিয়ে বসে
আমাকে হাটতে বাধ্য করে স্মৃতির সরণী ধরে ।