যৌনতাকে ভয় পাও? তুমি তো অপাপবিদ্ধা নও!
প্রমত্ত শরীর মন্থনে, কলস উপচানো গরলের সাথে
এক অঞ্জলি অমৃতের মত উঠে এসেছিলে তুমি।


যৌনতার পাপ তখনই কি স্পর্শ করেনি তোমায়?


যেদিন প্রথম লজ্জা পেয়েছিলে...
নিরাবরণ প্রকৃতির কোলে ঘুম ভেঙ্গে উঠে,
নিজেকে আবৃত করবার প্রথম তাগিদ অনুভব করেছিলে--,
সেদিনও কি পাপের ছোঁয়া লাগেনি তোমার!


যৌনতার প্রথম পাঠ সেদিনই কি সম্পুর্ণ হয়নি?


পুরোপুরি ফুটে উঠবার আগে তখন তুমি অঙ্কুরিত নারী;
সরস্বতী পুজোর ভোরে, অপরূপ সাজে,
সারস্বত জ্ঞান, বিদ্যা, কলার নিরাবয়বকে
নারীরূপে বন্দনা করে উচ্চারণ করেছিলে—
“জয় জয় দেবী চরাচরসারে
কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে”—আর তখনই
আড়চোখে নিজের দিকে তাকিয়ে শিউরে উঠেছিলে!
তারপর কোনো সদ্যযুবকের অপলক দৃস্টির মুগ্ধতায়
হঠাৎ ধরা পড়ে অজানা এক ভালোলাগায়
তিরতির কেঁপে ওঠোনি কি?


বলতে চাও, তখনও পাপের সঙ্গে বন্ধুতা হয়নি তোমার?


এরপর যখন থেকে পূর্ণত্বের প্রতীক্ষায় যাত্রী হলে,
যৌবনকে অলঙ্কারের মত শরীরে তুলে নিলে,
সৃষ্টিরহস্য তখন তোমার কিছু জানা, কিছু বা অজানা—
সারাদিন উপবাসের পর পাথরের শিব,
যোনিমধ্যে প্রোথিত লিঙ্গ, সৃষ্টির প্রতীক;
জল ঢেলে কামনা করোনি প্রার্থিত পুরূষকে?


তখনো পাপ এসে ধরেনি তোমার হাত!


কোনারকের সূর্য মন্দিরের গায়ে মিথুনমূর্ত্তি দেখে
একা একা নিজেকে নিয়ে গোপন খেলায় মাতোনি?
আবার কোনো রাতে ক্লান্তিকর দাম্পত্যের অতৃপ্ত রমনের পর
দীর্ঘশ্বাসে অভিশম্পাত করোনি কি ভাগ্যকে?


এরপরেও সতীত্বের বড়াই করবে,
যৌনতাকে পাপ বলবে  তুমি!


তবে সে পাপই আমায় দাও;
সর্বাঙ্গে পাপ মেখে অবগাহন করি আমি।