আমাদের পাড়ায় প্রধানতঃ দু-ধরনের কৃষ্ণঠাকুর আসে -


খুব ভোরে আসে কিশোর কৃষ্ণ।
বাঁশি বাজিয়ে দু-চাকার ঠেলাগাড়িতে
গৃহস্থালীর আবর্জনা জড়ো করে সে।
ঘরে ঘরে মহিলারা কিশোরের বাঁশির প্রতীক্ষায় থাকে;
দিনভর জমে ওঠা জঞ্জাল তাকে দিয়ে পাপমুক্ত হয় ওরা।
মনের পাপ যদিও মনেই জমে থাকে ...


রাত গভীর হলে আসে তমালকৃষ্ণ।
অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে, সে
দায়ীত্ব নিয়েছে গৃহস্থকে সজাগ রাখার;
তার বাঁশির আওয়াজে তাই অনেক রহস্য লুকিয়ে থাকে ...
কিন্তু, নিশ্চিন্ত ঘুমের মধ্যে তমালের বাঁশি
আমাদের বিরক্তই করে।


এছাড়া, সারাদিন আর যত কৃষ্ণ ঘোরাফেরা করে,
তারা তাদের রাধিকাদের সঙ্গে নিয়ে আসে;
অথবা, তাদের যান্ত্রিক বাঁশির সুরেলা ধ্বনিতে
গোপবালিকাদের ডাক পাঠায়।
এইসব কৃষ্ণরা ও তাদের সঙ্গিনীরা,
কোথা থেকে আসে আর কোথায় চলে যায় -
সে খবর অবশ্য আমরা কেউই রাখি না।