যদি একবার অকপট হতে পারি,
ছদ্ম সৌজন্যের মুখোশ ছিঁড়ে
সাদাটাকে সাদা, কালোটাকে কালো বলে দিতে পারি।


যদি একবার অকপট হতে পারি,
উড়ে এসে জুড়ে বসা নাছোরবান্দাটিকে
সপাটে মুখের উপর বলে দিতে পারি –
মশাই, ঢের হয়েছে, এবার বাড়ি যান।


যদি একবার অকপট হতে পারি,
ঝাকড়া চুল, রুক্ষ মুখ, গীটার বাগানো অসুরটিকে
ঝুটি নেড়ে, কান মলে বকে দিতে পারি –
যন্ত্রের সুর যন্ত্রের কানে, সুর মরেছে বিজ্ঞাপনে...
ধেড়ে খোকারা, গান-গান এই সন্ত্রাস এইবার বন্ধ করো।


যদি একবার অকপট হতে পারি,
দেঁতো হাসি, ধুর্ত চোখ নেতাটির
কলার খামচে বলে দিতে পারি –
তোমাদের সাদা জামা, সাদা চুল, সব মিথ্যে
নারকীয় শয়তানি ঢাকার জন্য
এই সাদা টুকু যথেষ্ট নয় !


যদি একবার অকপট হতে পারি,
ডানদিক ঘেষে চলা, দাড়ি চুলকানো
কবি-কবি আঁতেলটিকে ধমকে দিতে পারি –
তালে তাল দিয়ে, আর তেল দিয়ে কতদিন আর ?
কবিতার নামে অগণিত মৃত শব্দের প্রয়োজন সৎকার ।


যদি একবার অকপট হতে পারি,
স্বপ্নে আসা চোখ মটকানো জঘন্য সুন্দরীদের
প্রকাশ্য রাস্তায় পথ আটকে জানিয়ে দিতে পারি –
শোনো, প্রেম-ট্রেম কিছু নয়,
তোমাদের আমি তীব্র ভাবে কামনা করি।


যদি একবার শুধু অকপট হতে পারি...
আড়চোখে তাকানো সব সেয়ানাকে
চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারি –
যতই ভান করো চালাকির,
ঘোমটার আড়ালে মেকী চেহারা গুলো,
এইবেলা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসো...
নাহলে, ভদ্রতার খোলস ছাড়তে
আমারও দেরী হবে না।।