তুমি শুধু রক্ত চেয়েছিলে,
স্বাধীনতা আনবে বলে।
নিঃস্বার্থ, নিঃশেষ করে দেওয়া রক্ত...
আমরা দিইনি।
আমাদের রক্তে কর্কটের বাসা,
তাই স্বাধীনতা আসেনি;
বদলে , কালোবাজার এনেছি;
দূষিত রক্ত পণ্য করেছি
চড়া মুনাফা ও জীবনের বিনিময়ে।


তুমি প্রার্থনা করেছিলে ত্যাগ,
শৃংখল ঘোচাবে বলে;
আমরা শুনিনি।
আমাদের যোগের ঘরে ভোগের বাসা;
তাই, বুকে গোলাপ গুজে
লাম্পট্যকে মাথায় তুলেছি;
ফলে, সোনার শিকলে শ্বাসরুদ্ধ হয়েছে
চাঁদির পয়জারে আত্মা ক্ষতবিক্ষত !


তুমি আহ্বান করেছিলে পৌরুষকে
বৃহণ্ণলার ক্লীব ছদ্মবেশ নাশ করার জন্য;
ভুল ভেবেছিলে।
গণপিতা ও তার পোষ্যপুত্রদের
সীমাহীন আপোষ ও নিঃশর্ত সমর্পন
বহু আগেই সূচনা করেছিল
বুকে হাঁটা অমেরুদন্ডী এক ক্লীব জনগোষ্ঠীর।


তুমি ছিলে নিরুচ্চার ব্রহ্মচর্য্যের জীবন্ত প্রতীক।
আমরা ব্রহ্মচর্য্য নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়েছি;
আমাদের পতিত জীবনের অসংযমের পাপে
তোমার চন্দনচরিত্র কালিমালিপ্ত করে
আমরা হাত ধুয়ে সাধু হয়েছি।


তুমি চেয়েছিলে বিদেশী প্রভুদের দেশ থেকে তাড়াতে;
আমরা তোমাকেই দেশ ছাড়া করেছি।
তারপর ধান্দাবাজির দশচক্রে
ভগবান কে ভুত বানিয়ে, বেশ কিছু
পশুশাবকের নাম রেখেছি তোমার নামে;
তোমার প্রিয় মাতৃভূমিতে
তারা আজ স্বধর্ম পালনে রত।


তুমি সব দিতে চেয়েছিলে
আমরা নিতে পারিনি। কারণ...


বরাহনন্দন কখনও অমৃতের সন্ধান পায়না !