মাটি বধির গাছেদের কোনো রং নেই
এখানে রোজ বৃষ্টি ধুয়ে দিচ্ছে অবিশ্বের অন্ধকার
বেনাঘাস মাড়িয়ে মুগরিচড়ার আলপথে হেঁটে যাচ্ছে সপ্তঋষি
একগোছা কাগজের ভেতর লেখা পৃথিবীর কঠিন অসুখ


এখানেও ব্যর্থতা কুয়োর মতো হা হয়ে আছে
আজন্ম লালিত আঁধারে ভেসে গেছে
কেশরের মেঘ আর মৌরলা মাছের ছটফটানি


খালি পেটে কবিতা লিখতে বসলে অক্ষরগুলো অন্ন হয়ে ওঠে
মাঠাবুরু সালোকসংশ্লেষ
পলাশ গাছ আগুন রং ফুল, ঘিঞ্জি বস্তিগুলোর মাথায় উল্কাপাত


অদূরে কেউ লকলকে যোনির জিভ দিয়ে রক্ত চাটছে
যা আমাদের লজ্জার, আমাদের মেঘপালক
আর্তিগুলো ছুঁয়ে থাকে, বিষন্ন খড়ের ছাউনির ফোটা ফোটা বৃষ্টির শব্দ


ডুলুং নদীতে জলের অভাবে আগুন বয়ে যাচ্ছে
শূন্যে ভাসছে কবরের মাটি
কাউকে বলিনি তার দহন, তার আর্তনাদ


আচঁলভর্তি পৃথিবী বীজ
আধখানা রক্তের চাঁদ


নারীর ভেতরে শুধু মাংসের গন্ধ
লালা ঝরছে কুকুরের মুখে
সন্ধ্যায় পাখি ঘরে ফেরে দীপ সলতের মতো
মাটির ঈশ্বর হাটছে পিঠে অপরিশোধ্য ঋণ নিয়ে
যা আমাদের কারন।


----------------------------------------
22/10/2020(০৫কার্তিক ১৪২৭)