নাম ছিল নন্দিনী
তখনো ভালোবাসিনি ,
নন্দিনীর সাথে প্রথম দেখা ,
বাসস্ট্যেন্ডে ছিল একা ।
চোখে চোখ পড়ল হঠাৎ যখন ,
কেউ কাউকে চিনিনা তখন ।
সামনে এসে সে আমাকে ,
ও'দাদা বলল ডেকে ।
ঘাটাল যাবার বাসটা আসবে কখন ?
'পৌনে একটায়', বাজে বারোটা তখন ।


'আমি ত এখানে নতুন' নন্দিনী বলল ,
তারপরে কিছু কথা চলল ।
নন্দিনী এসে ছিল তার বান্ধবীর বাড়ি ,
বাড়িতে অসুখ খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি ।
এসে ছিল কালকেই বিকেলে ,
চলে যেতে হচ্ছে সকালে ।
বাবা তার বয়সক 'পোষ্ট মাস্টার' ,
বাড়ীতে একা যাওয়া দরকার ।
আর কেউ নেই ,
মা মারা গেছে ছোটোতেই ।
অবিবাহিত মামা ছিল একখানা ,
মারা গেছে আপনজন বলতে আর কেউ না ।
নন্দিনীর বান্ধবী অন্তরা ,
একই কলেজে পড়ে ওরা ।
নন্দিনী ঘাটাল শহরে থাকলেও ,
গ্রামকে খুব ভালোবাসে সেও ।
নন্দিনী অন্তরার বাড়ি আসলে ,
অন্তরাকে চার পাঁচ দিন থাকবে বলে ।


মনে আমার লাগল কেমন ,
কী অদ্ভুত নন্দিনীর জীবন।
এই প্রথম পরিচয়েই ,
ভালোলেগে গেল কিছু কথা বলতেই ।
নন্দিনীর ব্যপারে ত জানলাম ,
নন্দিনী কত একা সত্যি তা মানলাম ।
কিছু কথার ফাঁকে ,
নন্দিনী প্রশ্ন করল আমাকে ।
'তোমাকে ত চিনলাম না' ,
আমি বললাম 'আমাকে চিনবে না।
আমার বাড়ি এখানেই- সামনেই থাকি'


আমার কথা শেষ না হতেই নন্দিনী বলল 'তাই নাকি'?
নন্দিনী আবার বলল 'অপনি কি করেন' ?
আমি বললাম 'বেকার বলতে পারেন' ।
নন্দিনী আমার মুখের দিকে তাকাল
মিথ্যে কথা বলেই হেসে ফেলল ।
নন্দিনীর সেই মুখের হাসি ,
একটুতেই কত লাগছিল খুশি ।
তাই দেখতে দেখতে কখন যে হয়ে গেল দেরি ,
বাসটা এসে স্ট্যান্ডে দাঁড়াল শীঘ্রি ।
কিছু বলতে যাছিল বলা আর হল না ,
হাতে ব্যাগটা নিয়ে আর দাঁড়াল না ।
শুধু একটি বার হাত দেখাল ,
বাসটা ছেড়ে চলে গেল ।


কিছু দিন গেল এমনি ভাবতে ভাবতে ,
একদিন দেখা হয়ে গেল নন্দিনীর বান্ধবীর সাথে ।
নন্দিনীর বান্ধবীকে আমি চিনি ,
কিন্তু নন্দিনীর বান্ধবী আমাকে চেনেনি ।
আমিই অন্তরাকে বললাম 'নন্দিনী কি আর আসেনি ?
অন্তরা সজা জবাব দিল 'না আসেনি "।
'কেনো বলতো' অন্তরা বলল আমাকে ,
আবার বলল 'নন্দিনী চেনে নাকি তোমাকে'?
আমিও আবু-থাবু করে বললাম 'না, তেমন কোন-
পরিচয় নেই একদিন দেখা হয়েছিল এই যা কেন ।
সেই দিন নন্দিনী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল একা ,
জানতে চেয়েছিল বাস আসার টাই সেই যে প্রথম দেখা ।
জানতে পারলাম নন্দিনীর বাবা ছাড়া কেউ নেই ,
দু'দিন না থেকেই চলে গিয়েছিল নন্দিনীর বাবা অসুখে পড়তেই ।
আরও বলেছিল তোমার কথা 'অন্তরা' ,
নন্দিনীর জীবনে আর আপন বলতে কেউ নেই তুমি ছাড়া ।
তাই একবার খবর নেওয়ার জন্য মন কেমন করছিল ,
আমার কথা শেষ না হতেই অন্তরা বলল ।
'নন্দিনীর বাবা নেই সে দিনই মারা গেছেন'' ,
এই না বলেই অন্তরা চুপ হয়ে গেলেন ।


আমার শুনে কেমন লাগল ,
আমি অন্তরাকে বললাম ''নন্দিনীর কপালে এই ছিল?
মনে মনে ভাবলাম যেই মেয়েটা ছোটোতে মাকে হারাল ,
বাবা এক মাত্র যার সম্বল ছিল ভগবান তাও কেড়েনিল ।
আমার মনে প্রশ্ন জাগল কেনো করল ভগবান ,
নন্দিনীর জন্য ছোটো একটা আশ্রয় রেখে গেলনি আনুদান ।
এই সব আনেক কিছু ভাবার পরে ,
সত্যি মনটা কেমন লাগছে নন্দিনীর তরে ।
'অন্তরা তুমি খবর জান নন্দিনী এখন কেমন আছে' ?
সোজা জিজ্ঞাস করালাম অন্তরার কাছে ।
'এই দু'দিন হল খবর পেয়েছি জানি ,
নন্দিনী এখন একাই থাকে কলেজে আসেনি ।
ফোন করলে ফোনে পাই না কেনো কে যানে ,
ফোন ধরেনা আমারও কেমন লাগে মনে' ।
অন্তরা আমাকে তাই বলল ,
আর কিছু না বলেই আমি যাই বলে চলেগেল ।
এই সব শুনে আমার আর মন থামল না ,
একদিনও না অপেক্ষা করে চলেগেলাম কলেজের ঠিকানা ।


অন্তরা ঠিকি বলেছিল নন্দিনী আসে নি কলেজে ,
বাড়িতে যাওয়াই ভালো হবে তাই দেখলাম বুঝে ।
কলেজে ক'জনের কাছে জেনে দেখলাম ,
নন্দিনীর বাড়ির ঠিকানা পেয়ে চলে গেলাম ।
বেলা তখন দুপুর হবে ,
একাই আমি পৌঁছেছি সেই সবে ।
নন্দিনী রান্না ঘরে ,
নন্দিনী বলে



অসমাপ্ত ...........................।