মা গঙ্গা! দুঃখের কথাগুলো তোমাকে
শোনানোর জন্যই প্রতিবছর আসি
কাগজে কলমে লিখতে পারিনা
কেউ পড়ে ফেলে যদি!
ঠোঁট উল্টে বলবে-
সামান্য দুঃখের কথা
তা আবার কাগজে লেখা কেন?
যত্ত সব আদিখেত্যা।


তাইতো বছরভর জমিয়ে রাখা
দুঃখের পুঁটুলিটা খুলে ভাসিয়ে
দিই তোমার জলে,
কুলুকুলু বয়ে যাও পতিতপাবনী তুমি
বন জঙ্গল গিরিখাত কত জনপদ
পেরিয়ে ভেসে যায় আমার দুঃখগুলো।
ভেসে যায় অতল সমুদ্রে।


যখন সন্ধ্যারতির ঘন্টা বাজে
জ্বলে সহস্র দীপমালা
শতশত ভক্তের দল ডুবকি লাগায়
মানসিক প্রদীপ গুলো ভেসে যায়
শালপাতার ঠোঙায়
আমি তখন ঘাটের সিঁড়িতেই
দুঃখের কথাগুলো লিখি
শেষ হয় সন্ধ্যারতি,
ভক্তেরা ফিরতে থাকে
তাদের পায়ে পায়ে মিশে যায়
আমার দুঃখের দিনলিপি।


শূণ্যঘাট, স্তব্ধ হয় জন কোলাহল
দু একটা প্রদীপ মিটিমিটি জ্বলে
প্রহরের ঘণ্টা বাজে দূরে-
ভারমুক্ত আমি চেয়ে চেয়ে দেখি
পৃথিবীর সব পাপ বুকে নিয়ে বয়ে চলেছ..........
পাপনাশিনী তুমি।