ছক্কু মিয়া কাজ কম্মো করে না
লোকের বাড়ী বাড়ী,
নেচে নেচে গান গায়
ভূত পেত্নীর গল্প শোনায়।
কেউ খুশি হয়ে দুটো খেতে দেয়
কেউ বা একখান লুঙ্গি, পিরান
ছক্কু মিয়ার কোন দুঃখ নাই।
দুঃখ শুধুই ছক্কুর যুবতী বউটার
পরনে ছেঁড়া ট্যানা-
ক্ষিধের জ্বালায় মরে
ছক্কু মিয়ারভাঙ্গা চাল দিয়ে
বৃষ্টির জল পড়ে।


ছক্কুর বড় সাধ বউকে একখান
লাল' শাড়ী পরায়
হয়ে ওঠে না আর
আজ মোড়ল গিন্নি
একটা লাল শাড়ী দিয়েছে
এক পায়ে ঘুঙুর বেধেঁ লুঙ্গি
ঘুরিয়ে নাচছে আর গাইছে
মিয়ার মনে খুশির জোয়ার।


গাইছে ছক্কু মিয়া......
মনে হচে বন্ধুকে পরহাই লালশাড়ী
তুমি আমার শীতের কম্বল
গরমের মশারি
কার কথায় করাছো বন্ধু মনভারি


ছক্কু নাচছে......নাচছেই ....
তার ভাঙ্গা ঘরে যুবতী বিবির
চীর হরণ চলছে, তখন....
অভূক্ত পেট জবাব দিচ্ছে তার।