আমার নাম লাজবতী
লজ্জা আমার ভূষন ।
খাটো একখান কাপড়
লোভী চোখ চেটে চেটে খায়.....
আমার পুরুষ্টু যৌবন ।


মা নাই, বাপটা মাতাল
বাবুর বাড়ী কাজ করি
দুবেলা দুমুঠো খায়
গ্যারাজ ঘরে থাকি
ছোট জাত তো ! কেউ ছোঁয় না আমাকে
কাপড় কাচি, বাসন মাজি
বাবু ঠারে ঠুরে চায়
খাটো ট্যানায় ঢাকে না....
আমার দুরন্ত যৌবন
আমি লাজবতী, লজ্জা আমার ভূষন ।


আমার পল্লবিত যৌবনে
সাত সাগরের তুফান ।
বাবুর চোরা চাহনি বুঝি
লজ্জা পাই, শিহরণ জাগে মনে ।
এক রাতে বাবু এলেন আমার ঘরে
চমকে উঠি ! ছোট জাত যে আমি !
বাবু বললেন রমনী রত্ন তুমি ।
জাত পাতের দেয়াল গেল ভেঙেগ
বাবু খুলে নিল খাটো কাপড়খান
সাক্ষী রইলো গ্যারাজ ঘরের...
আবর্জনা গুলো
লজ্জা পেয়ে বলি
বাবু দেবে না তো ফেলে ?
সোহাগ করে বাবু আবার দেন আলিঙ্গন
ধন্য হলো লজ্জাবতীর
অচ্ছুত যৌবন
আমি লাজবতী, লজ্জা আমার ভূষন ।


দিন যায় মাস যায়
পীড়িত জ্বরে জবুথবু আমি
তবু চিন্তা লাগে মনে...
বলি....বিয়ে করো আমাকে ?
সোহাগ করে বাবু বলে, ভাবিস কেন ?
রানী করবো তোকে ।
সিঁদুর রাঙা লাজবতীর অশান্ত যৌবন
আমি লাজবতী, লজ্জা আমার ভূষন ।


সময় এখন থমকে দাঁড়িয়ে
আমার সারা শরীর জুড়ে
বাবুর সোহাগ ক্ষত
আমার এখন চলছে তিনমাস
লজ্জার মাথা খেয়ে বলি
বাবু আমাকে বিয়ে করো
আমি যে গভ্ভবতী ।
খবরদার ! গর্জে ওঠে বাবু ।
ছোট জাতের সাহস দ্যাখো দেখি !
লজ্জায় কাঁদে লাজবতী
বাপটা মাতাল বাবুর পয়সায়
মদ খায় রোজ
মেয়ের লজ্জায় তার কি আসে যায়
সেও তো পুরুষ
কাঁদে লাজবতী বলে থানায় যাবো....
লোক ডাকবো তবে,
কলঙ্কিনী ! কার পাপ চাপাস আমার ঘাড়ে ?
জানিস আমি কে ?
থানা আমার কি করবে !
বাবু সজোড়ে এক লাথি মারল
আমার কাঁচা পেটে
জ্ঞান হারাবার মুখে শুনল লাজবতী...
জানিস আমি এখানকার এম এল এ ।
ধূলায় ধূসর লাজবতীর রক্তাক্ত যৌবন,
হতভাগী লাজবতীর লজ্জা নাই এখন ।