বিয়ের সময় মেয়েরা কনকাঞ্জলি দেয়
মা বাবার ঋণ শোধ করে-
আমি কনকাঞ্জলি দিইনি মাগো
দিতে পারিনি....
তোমার ঋণ কি শোধ করতে পারি?
অনেক ঋণ তোমার কাছে,
গুনে যে শেষ হবে না মা!
তুমি আমায় জন্ম দিয়ে ধন্য করেছ
আলো দেখিয়েছ পৃথিবীর
ভাষা দিয়েছ মুখে, শিক্ষা দিয়েছ
বাঁচতে শিখিয়েছ, চলতে শিখেছি
তোমার হাত ধরে।


তুমি কি জানো "মা"কথাটা খুব ছোট্ট?
কিন্তু কি পেল্লায় ভারী!
আর তার ব্যাপ্তি! কি যে বিশাল!
পৃথিবীর পরিধিও ঢাকা পড়ে যায়
তার নিচে......
তাই তুমি আমার অহংকার মাগো
তোমার ঋণ কি আমি শোধ
করতে পারি?
তাইতো দিইনি কনকাঞ্জলি....


তোমায় তো শুধু যন্ত্রনা দিয়েছি মা!
সেই ভ্রূণ অবস্থা থেকে
প্রসবের নাড়ী ছেঁড়া যন্ত্রনা!
তাও তো সয়েছ হাসিমুখে
আদর করে বলেছ-
"আমার নাড়ী ছেঁড়া ধন"
কি অদ্ভূত প্রশান্তি!কি অনির্বচনীয়
তৃপ্তি তোমার মুখে
আমার কষ্টে বুক ফেটেছে তোমার,
সুখ পেয়েছ আমার সুখে।


স্নেহের অমৃত ধারা আমার মুখে দিয়ে
গরল পান করেছ অবলীলায়
নিজেকে যমের মুখে সঁপে দিয়ে
প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছ আমার....
পৃথিবীর সব রং আমাকে উজাড়
করে দিয়ে.....
চিরকাল রয়ে গেলে অন্ধকারে
এত ঋণ কি শোধ করা যায়?
তাই তো আমি কনকাঞ্জলি দিইনি "মা"!
কোন মেয়ে যেন না দেয়।