আমি বৃন্দা বোষ্টমী কে দেখেছিলাম,
অনেক দিন আগে....
বাঁশির মতো নাকের উপর দিয়ে
রসকলি আঁকা!
দুধ আলতা রঙ, চাপা দুটি ঠোঁটে
যেন নিখিলের আহ্বান
কাজল কালো দুটি চোখে
অপার রহস্য।
আমি বলতাম … তুমি কি সুন্দরী!
চমকে উঠে বলতো...
"এমন কথা বলোনি গো গোঁসাই
এত রূপ তবুও তো তাকে পাইনি"
কাকে পাওনি?
"যে আমার অভীষ্ট"
পরক্ষণেই কথা থামিয়ে খঞ্জনি বাজাতো...
তার চাঁপাকলির মতো আঙ্গুলের
যাদুতে খঞ্জনির কি সুমধুর ঝঙ্কার!


বোষ্টমী কিন্তু কোনদিন "রাধেকৃষ্ণ"
বলে ভিক্ষা চায়না
জিঞ্জেস করলে - বলতো....
সম্পূর্ণ মোহ মায়া মুক্ত হলে
তবেই না তার নামে ভিক্ষা চাওয়া?
এখনো যে মোহতে মজে আছি
গো গোঁসাই!
বুঝতে না পেরে বলি -
"রসকলি আঁকো কেন তবে?”
বলেছ- ওতো ভেক নিয়েছি
নিজেকে আড়াল করার বাহানা"
বলতাম তোমার কথা বড় দূর্বোধ্য?
মিষ্টি হেসে বোষ্টমী বলতো-
"বুঝবে গো গোঁসাই, বড় হও!”
ফ্যালফ্যাল করে তাকাতাম....


বোষ্টমী বলতো-
এখনও যে ‘আমি’ ও ‘আমার’
এই জাল কেটে বেড়োতে পারলাম
না গো গোঁসাই?
এখনও যে ছেঁড়া কানি আর
সাততালি মারা ভিক্ষার ঝুলিটার
প্রতি কত মায়া?
ত্যাগ কোথায়?
বলি গোঁসাই! "সম্পূর্ণ সমর্পণের
নামই তো প্রেম"
"এ প্রেমের লিশ্যা বড় দূজ্জয় লিশ্যা"
আমি যে এত কাল ধরে ....
তাকেই খূঁজছি গোঁসাই!!!