পার্টি অফিসটা কদিন থেকেই চুপচাপ
সেক্রেটারীর মন মেজাজ খারাপ
কোন জমপেশ খবর নেই
সবই কেমন মযাড় মেড়ে ।


হঠাত-ই লাফাতে লাফাতে পঞ্চা এলো,
পার্টির সক্রিয় কর্মী,
কাঁধ ঝাঁকিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে বলল
দাদা লাশ ..........


লাশ ! ঘর থেকে বেড়িয়ে এলো সবাই,
কার লাশ ! কোথায় ?
নদীর পারে, বট তলায় ।
চিনিস নাকি ?
না... না ...বেওয়ারিস ।


নেতাটির নাম ঝনক রায়
নাকে একটু নসিয টিপে, ভুরু কুঁচকে বলল,
পন্চা যা ...কুইক !
কোথা ?
আঃ মলো যা !
লাশের উপর আমাদের ফেস্টুন চাপা দে,
আর হ্যাঁ, সেট কর মাইক ।


শুরু হলো ভাষন..........
বন্ধুগন ! নির্বাচন আসন্ন
এই অবস্থায় দেখুন, আমাদের দলীয় কর্মী
সত্, নিরলস, পরিশ্রমী
তাকে কি নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে,
এ হতযা আমরা মানছি না মানবো না ।
এ সবই বিরোধী পক্ষের কাজ ।
বেশ কিছু লোক জমেছে...
সমস্বরে রব উঠল ...মানছি না মানবো না ।


বিরোধী পক্ষও থেমে নেই
দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে তারাও উপস্থিত,
শুরু করেছে তা তা থৈয়া
লাশ নিয়ে কাড়াকাড়ি
লড়াই প্রায় নিশ্চিত ।


পুলিশ এলো... দু পক্ষের দাবী আমাদের কর্মী,
রুলের ডগা দিয়ে শরীর ঢাকা দেওয়া
ফেস্টুন সরালো পুলিশ ....
এ তো সেই হারামজাদী !
যে বাচ্চা চুরী করে পাচার করে,
হন্যে হয়ে খুঁজছে একে পুলিশ ।


ফিস ফিস গুন্জন...
মেয়ে লাশ, মেয়ে লাশ
পন্চা.... ফেস্টুন হটা....কুইক !
ঝনক রায়ের চাপা স্বর
বিরোধী দল উধাও ততক্ষনে,
পুলিশ বলে পারেন বটে আপনারা...
যাবেন নাকি শ্রী ঘরে ?


গম্ভীর হয়ে বলল ঝনক রায়
চলবে নাকি কিছু ?
এদিক ওদিক দেখে
মাথা চুলকে, হাতটি পেতে
বলল বড়বাবু, কুইক কুইক ।