স্বপ্ন দেখতাম ঘর সাজানোর
ঘর বাঁধার...
নদীতীরে মাটির ছোট্ট কুটীর
যুথী মালতীর বেড়া দিয়ে ঘেরা
নিকোনো উঠোনে দাওয়ায়,
সাদা খড়ির আলপনা...
বেলি চামেলীর সুবাস প্রতিটি নিঃশ্বাসে
নদীর কুলুকুলু তান...
আর কোকিলের কুহুরবে
ভরে যাবে মন
সন্ধ্যেবেলা তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাবো
তারপর অপেক্ষা করবো
প্রিয় মানুষটির জন্য
রাঙাটিপ রাঙা শাড়ী পরে...
প্রিয় মিলনের মধুরস্বপ্নে শিহরিত হত মন।


এখন আমার ঘর আছে
আমি এখন নগরবাসী...
নগর সভ্যতার পুরু প্রলেপ আমার
সারা গায়ে...
নিয়ন লাইটের আলোয় আমার
মাটির প্রদীপ ম্লান..
আমার ঘরে আমি গৃহবন্দী
একপাশে অগোছালো কাপড়ের স্তুপ
বই খাতা ম্যাগাজিন কলম
চারিদিকে ছড়ানো ছিটানো
আসবাব পত্রে অনন্ত কালের
ধূলোর প্রলেপ-
ফুলদানীতে শেষ কবে ফুল দিয়েছি
মনে নেই...


আবর্জনার পাহাড়ের উপর বসে
পিটপিট করে দেখি
এই আমার ঘর?
আমারঘর সাজানোর ইচ্ছেটা
মরে গেল নাকি...
ইচ্ছে পাখি খাঁচা খুলে ফুড়ুৎ?
কিন্তু স্বপ্নটাকে যে ভূলতে পারিনা-


বন্ধ ঘরে জঞ্জালের স্তুপের মাঝে
হাতড়ে বেড়াই...
খুঁজতে থাকি স্বপ্নটাকে
আমার ঘর সাজানোর স্বপ্ন...