বারো ঘর এক উঠোনের ভারাটে
বাসিন্দা আমরা...
সাত নম্বরের ভাড়াটে
পূজারী বামুন বামনী...
কয়েক ঘর যজমান আছে তার
আর কি করে জানি না
অভাবী মানুষ...
তবে রোজ রাত্তিরে সুললিত কন্ঠে
স্বরিচত কবিতা আবৃত্তি করে
শোনায় বামনীকে
আমি ভাবি কিসের অভাব?
এ যে অতুল ঐশ্বর্য!
আমি বামনীর ভাগ্যকে ঈর্ষা করি
একদিন কথায় কথায় কর্তাকেও বলি...
তুমিও আমাকে সাত নম্বরের মতো
পদ্য বলে ভালোবাসো না কেন?
কলকব্জার মিস্ত্রী আমার গোবেচারা
কর্তাটি বললেন " মাথাটা গ্যাছে"...
সেদিন চুপ করে গেলাম
কিন্তু রাত হলেই ওই সাত নম্বর ঘর
আমাকে চুম্বকের মতো টানতে থাকে...
জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চুরি করে
কবিতা শুনি
মুগ্ধতায় ভরে যায় মন...


সেদিন সাত নম্বর ঘরে ছিল নিস্তব্ধতা
একটা উৎকট পোড়া গন্ধ পেয়ে...
গুটি গুটি পায়ে সাত নম্বরের জানলায়
উঁকি মারলাম...
দাউ দাউ করে জ্বলছে বামুনের তপস্যা
বামনী পান্ডুলিপির পাতা গুলো পোড়াচ্ছে...
তার বিকৃত মুখে বিজাতীয় ঘৃনা..
বিড় বিড় করে বলে চলেছে
পদ্যে পেট ভরে না
ঢ্যামনা মিনসে!
আমার পেট ভরা ভাত চাই ভাত?
আজ তোর কবিতার চিতা জ্বালালাম
কবি গিরি জন্মের মতো শেষ...
আমি পাথরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম
আমার মনে পড়ছিল
নিউটনের ডায়মন্ড কুকুরের কথা...