আশি পেরোতে চললো মা
বাতের ব্যথা হার্টের ব্যামো নিয়ে কোনক্রমে
শরীরটাকে টেনে নিয়ে চলেছে
চলতে হবে তাই....
অথচ আমাদের কারোর সময় নেই
মায়ের কাছে দুদন্ড বসার
দুটো  কথা বলার...
অজুহাতের অন্ত নেই আমাদের
দুপুরে দুটি ঝোল ভাত
রাত্রে একটু দুধ মিষ্টি খাওয়ার সময়
মায়ের ডাক পড়ে
আমাদেরও কর্তব্য শেষ হয়ে যায়
মাকে কাঁদতে দেখি রোজই
অভিযোগ করতে শুনিনা....
মায়ের খুশি দেখি
প্রতিবেশী কেউ এলে
কথা বলার আনন্দে দশ বছর বয়স কমে যায়
তবুও তো নির্বিকার থাকি আমরা?


কখনো কোনো অলস দুপুরে
আলমারি থেকে লালপাড় গরদের
শাড়িটা বের করে মা
হাত বুলায় পরম ভাললাগায়
বাবার কিনে দেওয়া শেষ শাড়ি.....
মা কি বাবার স্পর্শ খোঁজে সে শাড়ির
ভাঁজে ভাঁজে?
হয়তো তাই....
আসলে মানুষ বুড়ো হয়ে গেলে বড্ড
অভিমানী হয়ে যায়
একটু ভালবাসা চায় তখন
আমরা কি সে অভিমানটুকু ছুঁতে পারি না?  
               +++++++