কেউ খোঁজে একটু খাবার
কেউ বা করে নষ্ট...
অনাহারে কেমন কাটে
বোঝে কি তার কষ্ট!
বিয়েবাড়ি খাবার মজা
পাত পেড়ে বা বুফে...
যত ইচ্ছে কব্জি ডোবাও
কিম্বা নাও লুফে।
           সমাদরে প্রীতিভোজ
           যা খুশি চাই পাতে...
           খাই বা না খাই যাকনা ফেলাই
           কি আসে যায় তাতে!
           তবু যদি একটুখানি
           ভাবো ওদের জন্য...
           রোজ দুবেলা পেটটি পুরে
           জোটে না যার অন্ন।
           ****************
        ✍️সুলেখা রায়।(কলকাতা/ভারত)
★একটা সময় ছিল,যখন বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথির খাবার সময় তদারকির দায়িত্বে থাকতেন পাড়ার দাদারা। বাড়ির লোক ভেবে তারা খাবার পরিবেশন করতেন। কারোর পাতে খাবার পড়ে থাকলে তারা প্রতিবাদ করতেন। যতক্ষন না একটি পদ শেষ হতো ততক্ষণ তার পাতে অন্য পদ পরিবেশন করা হতো না। গৃহকর্তা যখন অভ্যর্থনা করতে আসতেন তখন তিনিও দেখতেন যাতে খাবার জিনিষ নষ্ট না হয়।
আজকাল আর সেই রীতি নেই,সেই পরিবেশনের নিয়মও নেই। পরিবর্তনের যুগে এখানেও প্রতিযোগিতা,কে কত পদ আয়োজন করতে পারে অন্যকে টেক্কা দিয়ে। একদিকে বিপুল পরিমাণে খাবার নষ্ট হয় বিয়েবাড়িতে আর অন্য দিকে ক্ষুধার্থ ঘুরে বেড়ায় একটু খাবারের খোঁজে! সমাজ জুড়ে অদ্ভুত বৈপরীত্য! বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে বেশী পদের পরিবর্তে খাওয়ার মেনু সংক্ষিপ্ত হোক,তাহলে হয়তো খাবারের অযথা অপচয় বন্ধ হতে পারে।
-----------------------------------