দিগন্তে সোনার আভা ছড়িয়ে সোনালী ভোর আসেনি অনেকদিন।
নিষ্প্রাণ শুষ্ক-মরু শিশুদের সাজানো বাগান!
লোকালয় মাঠ-ঘাট রাজপথ আজ জনমানবহীন!
কতদিন সমবেত নৃত্যের ঝংকারে মুখরিত হয়নি প্রেক্ষাগৃহ.... কোরাসে গাওয়া হয়নি জীবনের গান!
রাগ-রাগিনীর আলাপী মূর্ছনায়.... গীত-বাদ্যের নিখুঁত যুগলবন্দিতে বিমোহিত দর্শকমণ্ডলীর সমবেত করতালি ধ্বনিত হয়নি অনেক-----দিন!!


বেহালার একটানা করুণ সুরে কেটে যায় বিনিদ্র রাত!
বিশ্ব কাঁপায় এখন অণুজীবের স্বেচ্ছাচারী শাসন।
বন্ধুহীন--স্বজনহীন একাকিত্বের আঁধারে মৃত্যুর নিঃশব্দ পদচারণ!
একটা অশুভ কালো ছায়ায় ঢেকে গেছে  সদাহস্য অজস্র মুখ......
বাড়ন্ত প্রাণবায়ু....শ্বাসকষ্টে ভোগে পৃথিবীর ঝাঁঝরা বুক।


বড় অসময়ে সন্ধ্যে নামে এখন! শ্মশান আর গোরস্থানের কান্না স্পষ্ট শোনা যায়!
চোরাবালির মতো তলিয়ে যাচ্ছে জাগতিক যত শান্তি-সুখ!
মারী-মড়ক আর ঘন ঘন দুর্যোগের দমফাটা উল্লাস!
মৃত্যু ভয়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে দিন যাপনের দীর্ঘশ্বাস!!


সময়ের মৃত্যুভয় নেই... দুঃখ নেই... হতাশা নেই... মনখারাপ ঘিরে নেই অবসাদের বালাই।
আশাবাদী সময় ওৎ পেতে আছে একটা ভালো সময়ের অপেক্ষায়।
সময় জানে, সময়ের নিয়মেই একদিন আঁধার কেটে যাবে.... জীবন আবার তার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাবে।
সময় জানে, সময়ের নিয়মেই কিছু প্রাপ্তির সাথে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। সময়ের দায়বদ্ধতার কাছে সময়ও যে বড় অসহায়!
সময় তাই সময়ের দাবী মেনে তার চলার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে.....
প্রতিটি মুহূর্ত অতীত হওয়ার আগের সময়টা, অমরত্বের ইতিহাস হয়ে বাঁচার আকাঙ্খায় চলমান সময়ের জীবন্ত পাণ্ডুলিপি লিখে রাখে।
----------------------------------------
✍️সুলেখা রায়।(ভারতবর্ষ)