সেই ছোট্ট থেকে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছি
চারপাশের বৃক্ষরাজী দূর্বাদল মিশে আছে আত্মার গভীরে
তারও চেয়ে আরো গভীরে রেখেছি তোমাকে।
                        যখন বুঝতে শিখেছি
তখন থেকেই তোমাকে পড়তে চেষ্টা  করেছি
তোমাকে পড়তে গিয়ে বুঝেছি
তোমাকে জানতে হলে
পড়তে হবে গোটা বাংলাদেশ।
পড়তে হবে মে দিবস, পড়তে হবে শ্যামল মাঠ,
শিশির ভেজা ভোর, তপ্ত দুপুর, বিষন্ন সন্ধ্যা।


তোমাকে জানতে বারবার পড়েছি
আমার মায়ের কবিতার উঠান।
ধান শুকাতে দিয়ে মা আমার প্রার্থনায় বসতেন।
স্নান করতে গিয়ে কুড়িয়ে আনতেন ঝরা শিউলি,  
নিপুন হাতে গাঁথতেন মালা।
বাবার জন্য ভাত বেড়ে রাত জেগে থাকতেন
শুকলা দ্বাদশী চাঁদ ডুবে যেত
বাবা টলতে টলতে শেষ রাতে প্রবেশ গৃহে।


তোমাকে জানতে হাতে তুলে নিয়েছি কাব্য খাতা
ভাঙা ভাঙা অক্ষরে লিখেছি কবিতা।
পড়েছি, আগমনী, পড়েছি বিদ্রোহী,  
পড়েছি খেয়া-পারের তরণী
তবু তোমাকে জানা হয়নি গানের বুলবুল।
তোমাকে জানতে আজো হাতড়ে ফিরি
যুদ্ধের রণাঙ্গন,  আসানসোলের রুটির দোকান,
পালাগানের দল, মক্তবের বারান্দা।


২৯ আগস্ট ২০১৯