বাংলা সাহিত্যের এক নিবেদিত প্রাণ।  
-----------------------------------


খুলনার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, কবি ও আলোচক অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু। জন্ম ২৩ এপ্রিল  ১৯৭২ সালে গোপালগঞ্জ  জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম  পরিবারে শেখ বংশে ।  তিনি স্বনামধন্য কবিদের সারিতে নিজ যোগ্যতা বলে জায়গা করে নিয়েছেন। সমাজ কাল পাত্র ভেদে তিনি বহু কবিতা লিখেছেন যা দেশ, প্রেম ও  বিদ্রোহী চিন্তাযুক্ত। তারুণ্যের উদ্দীপনাময় তরুণদের মনে দারুণ সাড়া জাগায় । তিনি কবিতা লেখার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তিকার ও সাহিত্য আলোচক  হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন।  অত্যন্ত সদালাপী বিনয়ী নম্র ভদ্রতায় তার জীবনকে করেছে এক উদার সুন্দর মনের দারুণ মানুষ।খুব সহজে মানুষকে ভালোবেসে কাছে নিতে পারেন।
কবি শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু  বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত সাহিত্যিক, বাংলাদেশ বেতারের আলোচক,জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সাহিত্য সভার মুখ্য আলোচক সহ তিনি সাহিত্যের পাশাপাশি এলাকায় সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়জিত রেখেছেন। খুলনা সাহিত্য একাডেমি ও সম্মিলিত লেখক ফ্রম নামে দুটি সংগঠনের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ইতমধ্যে এলাকায় বেপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।  পড়ালেখা শেষ করে তিনি খান জাহান আলী মহাবিদ্যা ইংরেজী বিভাগে অধ্যাপনা করছেন । তিনি দুই সন্তানের জনক। তার সহধর্মিণী তার সাহিত্য চর্চায় দারুণ উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন।  তার জীবন খুবই জাকজমকপূর্ণ। তাকে সবাই কবি হিসাবে চিনলেও তিনি আমোদ ফুর্তি করে কবি ও লেখকদের নিয়ে অনেক আনন্দ বিনোদন করে আসছেন। তাই তাকে সাহিত্যের নিবেদিত প্রাণ বলা হয়।


কবি ও সংগঠক অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু তার কবিতায় মানুষ এর ভালোবাসা, অন্যায়ের প্রতিবাদ, বিদ্রোহের দাবানল তুলে এনেছেন,  যা পাঠককে করেছে মুগ্ধ। তিনি কোন সময় লিখেছেন মাদকের বিরুদ্ধে, আবার কোন সময় অন্যায় অত্যাচার, খুন গুম ও সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আবার তার কবিতায় উঠে এসেছে গ্রামের মানুষের কথা, কৃষকের কথা।


তিনি কবিতা ও সাহিত্যের অবদান হিসাবে বহু সম্মাননা পত্রসহ পদক স্মারক পেয়েছেন যা বলে শেষ করা যাবে না।


পরিশেষে এটাই বলবো, কবি আজিজুল ইসলাম টিপু তার কলমে লিখে চলেছেন , লিখবেন , যা থামার নয়। তিনি শুধু নিজের না, তিনি সবার, তিনি কোন দেশের না তিনি পৃথিবীর, তিনি তার সাহিত্যের মাঝে ডুব দিয়ে নিয়ে আসবেন নতুন কোন সম্ভাবনার দুয়ার। আমরা সে দুয়ারে প্রবেশ করে দেখবো আগামীর সুন্দর পরিচ্ছন্ন এক সমাজ ব্যবস্থা। তার কবিতায় দুর হয়ে যাবে অন্যায় অনাচার। তার কবিতায় দেখবো ভোরের সুন্দর একটি সূর্য ।