অতঃপর পোড়া চোখের নোনা জল মিশ্রনে
বিন্দু থেকে সিন্ধু সৃষ্টির অনুভবে  গেঁথেছি মালা,
না কোন রং বাহারি অর্কিডে  নয়,
দেশি গোপাল, রজনীগন্ধা আর একবুক মনোমহিনী নিঃশ্বাসে  এক অদ্ভুত ভালোবাসার পরশ


জানি, এ মালা কোন দিনও উঠবে না আমাদের গলায়, তবু গেঁথেছি আপন হাতে।
জানো নিঝুম, আজ খুব মনে পড়ছিলো তোমার সেই স্পর্শকাতর কথাগুলো
তুমি প্রায়সই আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলতে,-
' মানবিকা লাল শাড়ি বধূবেশে তোমাকে  দেখতে খুব ইচ্ছে হয়
কিন্তু আমরা এমন এক পথের বাকে দাঁড়িয়া
এখানে অনেক সাধ আছে
কিন্তু আমাদের  হাত পা বাঁধা  মানবিকা,
চাইলেই এখন আমরা অনেক কিছু করতে পারিনা।
-পাগল,  নাই বা রাঙলো হাত মেহেদী  রঙে
সূর্যের লাল টিপ নাই বা উঠলো কপালে আমার
নাই বা উঠলো গায়ে শেরওয়ানি পাগড়ি
তবু ভালোবাসার স্নিগ্ধ চন্দন জলে স্নান তো করেছি আমরা-
এ যে আমাদের পরম পাওয়া।


এ মালা  গলায় নাই বা উঠুক,না হোক আমাদের ফুল বাসর
না ভিজুক চারটি পা  চাঁদ জোছনার সুপ্ত   জলে
নাই বা বসলাম আর মুখোমুখি চায়ের টেবিলে
শ্রাবণ বৃষ্টি জলে ভিজে হাতে হাত নাই বা হলো রাখা আর
তবু তো আছি একে অন্যের খুব কাছাকাছি,
আছি একে অপরের হৃদয় গহিনে।


শিশির, আমাদের চলার পথ হবে না কোন দিনও সমান্তরাল
বড় প্রেম শুধু কাছে টানে না, ঠেলে দেয় দূরে বহু দূরে
এটা জেনে বুঝেই তো বন্ধুর পথ ধরে
আমাদের প্রেম যাত্রা
আমাদের কাছে আসা আমাদের এ প্রণয়।


তবু কেন অকারণ ভিজে ওঠে পোড়া দুটি চোখ?
ইউসুফ-জুলেখা, শিরি- ফরহাদ, লাইলি-মজনু, চণ্ডিদাস -রজকিনী, হবার  ইচ্ছে তো আমাদের নেই
তবু আমরা এই ধরিত্রীর  বুকে অমর হবো নিঝুম- মানবিকা হয়ে

নির্মল বাতাস, সুনীল আকাশা  দিগন্ত থেকে দিগন্তের বৃক্ষরাজি  লতাগুল্ম ডেকে যাবে আমাদের নাম ধরে।
নয়া যুগের নব প্রেমী যুগল কণ্ঠের  কণ্ঠমনিহার হবে এ মালা।


১ মার্চ ২০১৪
সময় বেলা ৪.৫১